নবীগঞ্জে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকৃত ক্রেতা শূণ্য গ্রোথ সেন্টার, দায় নেবে কে? লোকসানে ব্যবসায়ীরা
এম.মুজিবুর রহমান ,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
নবীগঞ্জে ক্রেতা শূণ্য হয়ে পড়েছে কোটি টাকায় নির্মীত পৌর গ্রোথ সেন্টার, এমনটাই দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এই গ্রোথ সেন্টারে ক্রেতা শূণ্য হওয়ার কারন নিয়ে মন্তব্য করছেন পৌরসভার বাসিন্দারা। তারা মনে করেন কোটি টাকায় নির্মীত পৌর গ্রোথ সেন্টার অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলে এই গ্রোথ সেন্টারে ব্যবসা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত নবীগঞ্জ পৌরসভা। এরমধ্যে ৬নং ওয়ার্ড পৌরসভার মেয়রের গ্রামের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে গ্রোথ সেন্টার। যেখানে কাঁচামালের বাজার বসে। এছাড়াও বসে মুদি দোকানসহ বিভিন্ন দোকানপাট। ২০০৭ সালে গ্রোথ সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক পৌর মেয়র তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী। ২০০৭ সালের ২৮শে আগস্ট গ্রোথ সেন্টারের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন মরহুম দেওয়ান ফরিদ গাজী এমপি। ২০০৯ সালে এল, জি, ই, ডি প্রকল্পের নাম ই, বি,আর,ডি,পি কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রোথ সেন্টার চালু করা হয়। এদিকে ৬নং ওয়ার্ডের একক পাশে গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ করায় সেখানে গিয়ে কাঁচামাল ক্রয় করতে নারাজ পৌরসভার বাসিন্দারা। এতে করে চরম বিপাকে এবং লোকসানে পড়েছেন গ্রোথ সেন্টারের সকল ব্যবসায়ী। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ এবং পৌর বাসিন্দাদের সুবিধাজনক জায়গা থাকা সত্বে ও কোটি টাকা ব্যয় করে গ্রোথ সেন্টার কেন মেয়রের গ্রামের একক পাশে তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। কোটি টাকায় নির্মাণকৃত ক্রেতা শূণ্য গ্রোথ সেন্টার দায় নেবে কে? নবীগঞ্জ পৌরসভার গ্রোথ সেন্টারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিরা লাল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এখানে ঠিকমত ক্রেতা না আসায় দোকানের মালামাল বিক্রি করতে পারছি না। ব্যবসা থাকার পরও ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। পরিবার নিয়ে কোনো রকম জীবনযাপন করছি। এনিয়ে পৌরসভার বাসিন্দারা নতুন করে সুপরিকল্পিতভাবে গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ করার দাবি জানান। যাতে করে পৌরসভার নাগরিকদের কাঁচাবাজারে যেতে সমান সুবিধা হয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাজারের অন্যান্য কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের গ্রোথ সেন্টারে নিয়ে আসা হবে। তবে অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবায়ী এবং পৌরসভার বাসিন্দারা বলছেন এই গ্রোথ সেন্টার অপরিকল্পিত। এজন্য তারা সেখানে যেতে রাজি নন।