নীলফামারীতে ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত গবাদি পশু, উদ্বিগ্ন খামারীরা
এ জি মুন্না- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ঘরে ঘরে ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে গবাদী পশু।ভাইরাসটি মরণব্যাধী না হলেও খামারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
প্রায় দু’ সপ্তাহ আগে ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাসটি কিশোরগঞ্জে দেখা দেয়। এখন গোটা উপজেলায় তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এবং সদর উপজেলা ও সৈয়দপুরে আক্রান্তে
এই ভাইরাসটির উপসর্গ হলো গবাদী পশুর শরীরে লাল ও গুটি গুটি হওয়া, পাঁ ফুলে যাওয়া, গলায় ব্যাথা হওয়া ও ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হওয়া। যা কিনা অনেকটা করোনা ভাইরাসের মতো উপসর্গ। গবাদী পশু এই ভাইরাসের কারণে দুধ উৎপাদন কমে যাচ্ছে, পশুর ওজন হ্রাস ও ক্রমশঃ দুর্বল হচ্ছে। আর শরীরের(চামড়া) গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. মফিজুল ইসলাম বলেন, ভাইরাসটির মেয়াদ ৭ থেকে ১০ দিন। এর কোন প্রতিষেধক এখন বের হয়নি। তবে পক্সের ভ্যাকসিন ‘গোট পক্স ব্যাকলি’ প্রয়োগ করা যায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে প্যারাসিটামল খাওয়ানো যায়। তিনি আরো বলেন, এই ভাইরাসে ভয়ের কারণ নেই। এটি মরণব্যাধী নয়। মৃত্যুর হার শতকরা ০.৫ থেকে ১ভাগ। আমাদের উপজেলায় কোন গবাদী পশুর মৃত্যু হয়নি। খামারীদের আতংকিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আর হাতুরে চিকিৎসকদের কবলে পরে অর্থ অপচয় করার প্রয়োজন নেই। তবে খামার মশা-মাছি মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউপির মুন্সিপাড়া গ্রামের খামারী মমতাজ উদ্দিন জানান, আমার ১টি গরুর এই ভাইরাসটি হয়েছিল, এখন ভাইরাস মুক্ত। তবে আমার গ্রামে এ ভাইরাসটি দ্রুতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
পুটিমারী ইউনিয়ন কালিকাপুর গ্রামের আব্দুস ছামাদ জানান, আমার ৩টি গরু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আমার গ্রামে অনেক গবাদি পশুুর মধ্যে এ সংক্রমন দেখে দিয়েছে।