লালমোহনে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা করেন -এমপি শাওন
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
বাঙালির জাতির গৌরব আর গর্বের মাস মার্চ মাস। এ মাসেই ঘোষিত হয় বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের নাম। স্বাধীনতা, মুক্তিকামী বাঙালির স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেইদিন বাঙালিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে মুক্ত করার জন্য মরণপণ লড়াইয়ে।
লালমোনহন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার বিকাল তিনটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজারার সভাপতিত্বে উপজেলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভোলা-৩ আসনের সাংসদ সদস্য দ্বীপ বন্ধু আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এ-সব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন ৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে তখনও ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি পাকিস্তানের সামরিক জান্তা। কথা ছিলো ৭১ এর ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে।কিন্তু একাত্তরের পহেলা মার্চ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনের মোড় ঘোরানোর দিনে, এক আকস্মিক বেতার ভাষণে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করে দেন। বাঙালিকে শৃঙ্খলে রাখার চক্রান্ত প্রতিরোধের শুরু হয় এদিন। আর প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পুরো জাতি।হোটেল পূর্বাণীতে জরুরি বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের গণপরিষদ সদস্যরা। সিদ্ধান্ত হয় ২ মার্চ ঢাকায় আর ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল ৭মার্চরেসকোর্স ময়দানে জনসভা।
সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জানান, রেসকোর্স ময়দানেই দেয়া হবে পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি।এ দিন ঢাকায় চলছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট টিম বনাম বিশ্ব একাদশের ৪ দিনের বেসরকারী টেস্ট ম্যাচ। সেদিনের ঘোষণার পর, প্রতিবাদে ফেঁটে পড়ে পুুড়ো স্টেডিয়াম। বন্ধ হয়ে যায় খেলাটি।
বঙ্গবন্ধুর অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফররুল আলম হাওলাদার,সহ-সভাপতি আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, আক্তার হোসেন, মোস্তফা চেয়ারম্যান, আবদুল মালেক মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাছুমা বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রিপন, পৌরসভা আওয়ামীলীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাদল, মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মিয়া,সহ উপজেলার সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী গণ উপস্থিত ছিলেন।