সাংবাদিক হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরীকে শেষ বিদায় জানালেন শোকাহত সর্বস্তরের মানুষ
এ জি মুন্না, নীলফামারী ॥
ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিল (ডিএসইসি) নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরী’র (৪৯) জানাজা নামাজ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল হাজিপাড়া পারিবারীক কবরস্থানে অনুষ্ঠিত হয়। তার বাবা সাংবাদিক মরহুম ওবায়দুল মোকাদ্দেছ চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে করা হয় সমাহিত।
শনিবার (১৬ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডোমার জিএমসি মাঠে চতুর্থ জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার আগে ডোমার প্রেস ক্লাব, রিপোর্টাস ইউনিটি, রিপোর্টার্স ক্লাব, ভোরের কাগজ ডোমার প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জানাজা নামাজে ইমামতি করেন থানাপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা খায়রুল আলম। পরে পিতৃনিবাস পার্শবর্তী জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল হাজিপাড়া গ্রামে পঞ্চম নামাজে জানাজা শেষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পারিবারিক কবর স্থানে বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।
সাংবাদিক হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরী ডোমার থানাপাড়া এলাকার সাংবাদিক মরহুম ওবায়দুল মোকাদ্দেছ চৌধুরীর তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রথম সন্তান। তার শৈশব ও কিশোর কেটেছে ডোমারে। তিনি ১৯৮৮ সালে ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯০সালে ডোমার সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৯৪ সালে দৈনিক রুপালীতে (মফস্বল সম্পাদক) হিসেবে দায়িত্ব নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে দৈনিক ভোরের কাগজে যোগদান করেন। সেখানে তিনি সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পরিবাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাধারন সভায় যোগ দিতে হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরী বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাকে দ্রুত মালিবাগের খিদমাহ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।