স্বাধীনতা আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব: হানিফ
কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদও ৩ আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের সাথে আমাদের আবেগ অনুভতি জড়িয়ে আছে। সেই স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতা দিবসকে নিয়ে কটাক্ষ করে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ ছাপানো চরম অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে এটা একটি বড় ষড়যন্ত্র। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াটাই যোক্তিক। আমাদের মূল জায়গা স্বাধীনতা, স্বাধীনতা আমাদের অস্তিত্ব, সেখানে আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব। জনগণও সেটাই প্রত্যাশা করে। আর এতে যাদের মনে আঘাত লাগছে, বুঝতে হবে তারাও এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। সংবাদটি সরিয়ে দিয়ে এটা যে ষড়যন্ত্র তা প্রমান করেছে প্রথম আলো। ওই বাচ্চা তো ওইসব কথা বলেনি, পরে টিভির সাক্ষাতকারে সে বলেছে।
গত শুক্রবার বেলা ১১ টায় কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদেরকে হানিফ এসব কথা বলেন। হানিফ আরও বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এটি নতুন নয়। এক এগারোর সময় শেখ হাসিনাকে মাইনাস করারও ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো, পদ্মা সেতু নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো, যা এই পত্রিকায় ফলাও করে সে সময় ছাপানো হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে এটা আগের মতই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরেকটি গভীর ষড়যন্ত্র, যা মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের। সংবাদ মাধ্যমের বিশাল বিস্তৃতি ঘটানো হয়েছে। আগে একটি টেলিভিশন ছিল এখন ৪২টি টেলিভিশন ও শতাধিক দৈনিক পত্রিকা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা যেভাবে খুশি লিখছে, প্রতিদিন টিভিতে টকশো হচ্ছে, সেখানে সরকারের সমালোচনা করছে। তাদের তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার জায়গাটায় যদি আঘাত আসে, তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
হানিফ বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন এই বাংলাদেশ। এই স্বাধীনতা দিবসে পত্রিকায় খবর ছাপবে আমাদের ইতিহাস নিয়ে, যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে। স্বাধীনতার সঙ্গে আমাদের আবেগ অনুভূতি জড়িত।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ৩৩৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ট্যাব বিতরণ করা হয়। এ সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।