হাটহাজারীতে পবিত্র কোরবানের প্রথম পশুর হাট জমে উটেনি, মুখে মাস্ক নেই বহু মানুষ
আসলাম পারভেজ,হাটহাজারীঃ
হাটহাজারীর পৌর এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে আসন্ন কোরবান উপলক্ষে গরু ছাগলের বাজার। সরকারি ইজারাকৃত পৌরসভার গরু ছাগলের বাজার সারা বছর চললেও করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকমাস ধরে বন্ধ ছিল ঐ বাজার। তবে কোরবান উপলক্ষে হাটহাজারীর কোথাও এখনো বাজার না বসলেও দুতিন ধরে বেঁচাকেনা চলছে এ বাজারে। সরেজমিনে আজ বৃহস্প্রতিবার দেখা গেছে, বাজারে রয়েছে প্রচুর গরু। কিছুক্ষণ পর পর রংপুর, কুষ্টিয়া, নীলফামারী, রাজশাহী থেকে ট্রাকযোগে গরু নামছে। ছোট মাঝারি বড় সব সাইজের গরুই আসছে কোরবান উপলক্ষে। তবে এবার মুনাফার চাইতে ব্যবসা সচল রাখাই লক্ষ ইজারাদারদের। বন্ধ থাকায় যে লোকসানের সম্মুখিন হয়েছে অন্তত তা যেন পুষিয়ে উঠতে পারে। সরকারি ইজারাকৃত এ বাজারে গরুর মূল্যও নাগালের ভেতর। তবে বেপারীদের গরু বিক্রির ধুম পড়লেও লোকসানের মুখে স্থানীয় খামারী ও গৃহস্তিরা। সারা বছর গরু পালনে যে খরচ তা কোনমতেই উঠছেনা বিক্রয়ে। বেপারীরা নামেমাত্র দামে গরু ছেড়ে দেয়ায় বিপাকে তারা। তারপরও অাশা গরুর দাম বৃদ্ধি পেলে অন্তত খরচটুকু উঠবে। স্থানীয় শাহ আলম জানান, দুদিন ধরে তিনটি গরু নিয়ে এখানে আছি ক্রেতারা বিক্রয় মূল্য জানতে চাইলেও দরদাম করছেনা। অপরদিকে বেপারীরা ঠিকই বিক্রয় করে দিচ্ছে। দামের ব্যাপারে রংপুর এলাকার নজির আলম বলেন, দুই গাড়ি গরু এনেছি কিছু লাভ পেলেই ছেড়ে দিচ্ছি। করোনা পরিস্থিতি সাথে অনাবরত বৃষ্টি হচ্ছে অতি মুনাফার লোভে রেখে দিলে হয়ত ধরা খাব। এদিকে চট্টগ্রাম ডিআইজি ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনানুযায়ী বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন জানিয়ে ইজারাদার আয়ুব আলী প্রতিদিন সকালে জীবাণুনাশ স্প্রে, ব্লিচিং পাউডার ছিটানু, বাজারের বিভিন্ন স্পটে সাবান পানির ব্যবস্থা, স্যানিটাইজার, বিনামূল্য মাস্ক বিতরণ, সি সি ক্যামরা লাগানোসহ নিয়মিত মাইকিং চলছে। এর পরও এই বাজারের বহু ত্রেুতা বিত্রুেতার মুখে মাস্ক বলতে কিছুই দেখা যাইনি গরু আনা নেয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেপারীদের নিরাপত্তায় সোনালী ও জনতা ব্যাংকে টাকা লেনদেনে সহযোগিতাসহ তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা বলেন করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গরু পর্যাপ্ত রয়েছে দামও তুলনামূলক কম। এখন ক্রেতার উপর নির্ভর করছে বেঁচাকেনা। সবারই আয় উপার্জন বন্ধ। তাই চাহিদার চেয়ে ক্রেতা অনেক কম অন্যান্য বছরের তুলনায়। এদিকে পৌরসভায় সরকারি ইজারাকৃত বাজার বসলেও উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের কোথাও বাজার বসেনি। যদিও প্রতিটা ইউনিয়নে ইজারা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে চৌধুরী ফতেয়াবাদ এলাকায় ইজারা বহির্ভুতভাবে বাজার বসার চেষ্টা করা হলেও উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে তা অপসারণ করে দেয়। উপজেলা সূত্রে জানা গেছে আজ পর্যন্ত ১৪টি ইউনিয়নের ১১টি ইউনিয়ন জায়গা নির্ধারণ করে বাজারের আবেদন করে। সেগুলো হলো ফতেপুর ইউনিয়নের হেলাল চৌধুরী পাড়া, দক্ষিণ মাদার্শার মদুনাঘাট, উত্তর মাদার্শার। মেখলের ইছাপুর বাজার, ধলই এর কাটিরহাট, ফরহাদাবাদের জব্বার হাট ও নুর আলি মিয়ার হাট, মির্জাপুরের চারিয়া রেল ষ্টেশন, বুড়িশ্চরের বুড়িশ্চর বাজার, গুমানমর্দনের জিলানী বাজার, গড়দুয়ারার অঙ্কুরিঘোণা স্লুইসগেট বেঁড়িবাধ সংলগ্ন খোলা মাঠ, ছিপাতলীর বোয়ালিয়া মুখ।
দু একদিনের মধ্যেই আবেদনকারীদের সরকারি ইজারা নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
বাকী ৩টি ইউনিয়ন যথাক্রমে নাঙ্গলমোড়া, চিকনদন্ডী, শিকারপুর ইউনিয়নে সরকারি ইজারা নিয়ে বাজার বসবেনা বলে জানিয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যানবৃন্দরা।