আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মধ্যম নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড হেদায়াত আলীর বাড়ীর মরহুম রাজা মিয়ার ছোট ছেলে এম সেলিম উদ্দিন(৪০)কে তাঁর স্ত্রী কুনছুমা সিদ্দিকা প্রিয়া (৩০)নিজ হাতে সুপারি গাছের ফালা দিয়ে শরীরে প্রত্যেক জায়গায় দৌড়িয়ে পিঠিয়ে আহত করে। আহত সেলিমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করে।
নিহতের বোন পারভিন প্রতিবেদক জানায়,আমার ভাই গত সাত দিন ধরে টাউনে আমার বাসায় ছিল। বউয়ের অত্যাচারে নিঘুর্ম রাত্রিযাপন করত আমার ভাই। দীর্ঘ দুই বছর হলো আমার ভাই দেশে ফিরেছে।দেশে আসার পর থেকে আমার ভাইয়ের বউয়ের অত্যাচারের সীমা ছিল না।ঘর থেকে বাহির করে দিয়ে আমার ভাইকে খুঁড়ে ঘরে থাকতে দেয়া হয়েছে
দেড় বছর ধরে। রাতে বাসায় ঢুকলে কিরিস দিয়ে ধাওয়া করত, রাতে ভাত দিতো না,পানি দিতো না।
কিছু খাওয়া জন্য চাইলে দা,বটি, কিরিস দিয়ে সারা বাড়ি দৌড়াত এ মহিলা। এ জল্লাদ মহিলাটি বার বার ডিভোর্স চাইত,কিন্তু আমার বিদেশ ফেরত ভাইয়ের অর্থকড়ি স্বচ্ছল না থাকায়, দুইটি ছেলে-মেয়ের দিকে তাকিয়ে সংসার করত।
তিনি আরো বলেন,এ মহিলা বিভিন্ন ছেলের সাথে ইমুতে/মেসেঞ্জারে স্থানীয় পর-পুরুষের সাথে ফোনে অশল্লীল কথা বলতো,ভিড়িও কলে না না ধরনের কুকর্মতে লিপ্ত ছিল।এসব কিছু আমার ভাইয়ের সামনেই করত,কিন্তু দুইটি অবুঝ সন্দানের দিকে তাকিয়ে আমার ভাই ডিভোর্স দিতে চাই নি।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর জৈনকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,প্রিয়া নামের মহিলাটি সামাজিক মিড়িয়া ফেইসবুক মেসেঞ্জারে অনেক ছেলেদের সাথে কথা বলত।প্রেম করত।স্বামীকে না বলে রিজার্ভ সিএনজি করে নানা জায়গায় ঘুরতে চলে যেত।স্বামী সেলিম এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান,থানা-পুলিশ আইন আদালতে দৌড়িয়ে এর কোন সুরহা মেলেনি।
এ বিষয়ে সেলিমের স্ত্রী কুনছুমা সিদ্দিকা প্রিয়ার কাছে জানতে চাইলে,তিনি নির্ধিদায় দোষ স্বীকার করেন প্রতিবেদকের কাছে।নিহত সেলিমের বড় ভাই শাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের এস আই আকরাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে,লাশের সুরহতাল নির্ণয় করে। হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মাসুদুল আলম বলেন,আমরা লাশের সূরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে মর্গে প্রেরণ করেছি।
