আজমিরীগঞ্জে প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিংয়ের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ ৫ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড়
আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি- আজমিরীগঞ্জে ৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য নামেমাত্র প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং উপকরণ সরবরাহ ও স্হাপনের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ৫ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে । এ নিয়ে এলাকায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।জানা যায়,আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শরীরচর্চার জন্য প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং বজায় রাখতে প্রতিটিতে দেড় লাখ করে মোট ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজ করার কথা থাকলেও, সার্বিক কাজ বাস্তবায়ন করেছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়া। এ ব্যাপারে কিছুদিন পূর্বে বেশ কয়েকটি স্হানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অনুমানিক বিগত ১৫ দিন পূর্বে কোন রকম কাজের দ্বায়িত্ব পালন না করেই বিল উত্তোলন করে নেন, ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকগণ। এদিকে পাটুলিপাড়া ও নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলের লাইন কেটে দেন। এ ছাড়া বং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমরা কাজ করালে পুরোপুরি হলেও হবে না। সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়ার নিজ দ্বায়িত্বে করিয়েছেন। তা ছাড়া ১০/১২ দিন পূর্বে বিল উত্তোলন হয়ে গেছে।উল্লেখ্য,জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের সর্বস্তরে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিশু শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা তথা প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং বজায় রাখার লক্ষে দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে এর উপকরণ সমূহ। এরই ধারাবাহিকতায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় মোট ৬৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫ টি বিদ্যালয়ে শারীরিক কসরত বা শরীরচর্চার জন্য প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং এর উপকরণ সরবরাহ ও স্হাপনের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে দেড় লাখ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৫০ হাজার বরাদ্দ দেয়।এর অর্থায়নে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। নিয়মানুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজ করার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকগণের বক্তব্য অনুযায়ী, প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং এর উপকরণ সরবরাহ ও স্হাপনের সার্বিক দ্বায়িত্ব পালন করেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজ মিয়া। ইতিমধ্যে ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় যথাক্রমে বদলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাটুলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লেইং এন্ড একরসারসাইজিং এর মোট ৭ টি উপকরণ সরবরাহ করে স্হাপন করা হয়েছে। যা অত্যন্ত নিম্নমানের, লোকজন জানায় উক্ত উপকরণ নির্মান ও স্হাপন বাবদ খরচ হবে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে, পাটুলিপাড়া, নগর ও বদলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ জানায়, প্লেইং এন্ড এক্সারসাইজিং এর উপকরণ সরবরাহ ও স্হাপনের কাজ করেছেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজ মিয়া। এ ব্যাপারে আমরা কোন চিঠিপত্র পাইনি। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজ মিয়ার নাম যে বলেছি, বিষয়টি সে যাহাতে না জানে বলে অনুরোধ করেন, পাটুলিপাড়ার প্রধান শিক্ষিক। এদিকে বং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানায়, বদলপুরের মেস্তুরি কাজ করেছে। কে করিয়েছে জানতে চাইলে জানায়, কে কিভাবে করিয়েছে, তা আমার জানা নেই। পর ফোন কেটে দেন। অপরদিকে সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজ মিয়া জানান, সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উক্ত কাজ করিয়েছেন।