আবু জাহির এমপির হাতেই হবিগঞ্জে জেলা আওয়ামীলীগ, সর্বকালের সেরা আওয়ামীলীগ

প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২০

অপরাধ ডেস্কঃ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রদ্ধেয় নেতা আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি মহোদয়ের বিরুদ্ধে অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে বর্তমানে হচ্ছে, কিছু অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তি এবং তাদের কিছু পত্রিকা টাকার বিনিময়ে অনেক মিথ্যাচার রটাচ্ছে, ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না, কার হাত ধরে লাখাই উপজেলার রাজাকারের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসেছে আসুন সত্য ঘটনা জানি, প্রকৃত ঘটনা হলো লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম সম্পর্কে একে অন্যের মামাতো ও ফুফাতো ভাই, একই গ্রামের বাসিন্দা এবং তারা একই পরিবারের সদস্য। ২০০০ইং সালে কৌশলে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া সাহেবকে ভুল বুঝিয়ে আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম তার মামাতো ভাই লিয়াকত আলী চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগে যোগদান করান। এর পরপরই তৎকাকলীন হবিগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকে ভুল বুঝিয়ে আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম তার মামাতো ভাই লিয়াকত আলীকে লাখাই উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি বানান। দীর্ঘ দুই/আড়াই বছর লিয়াকত আলী কৃষক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০৩ সালের জানুয়ারী মাসে লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনে মাছুম মোল্লা তার মামাতো ভাই লিয়াকত আলীর পক্ষে কাজ করেন ও তাকে লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন। সেই সময় মাসুম মোল্লা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক মোস্তফা শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী। তাদের মাধ্যমেই মাসুম মোল্লা লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন করিয়ে নেন। তখন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও এমপি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তখন উনার মাধ্যমে কোন কমিটি অনুমোদন হওয়ার সুযোগ ছিল না। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের জুন মাসে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এডভোকেট আবু জাহির বিপুল ভোটে আবুল হাশেম মোল্লা মাসুমকে পরাজিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অন্যদিকে কয়েক বছরের মধ্যে মাসুম মোল্লার সাথে লিয়াকত আলীর সম্পর্কের অবনতি হয়। তখন মাসুম মোল্লা লিয়াকত আলীর সাথে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। এরপর ২০০৯ইং সনে উপজেলা পরিষদ পরিষদ নির্বাচনে মাসুম মোল্লা ও লিয়াকত আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং উভয়েই পরাজিত হন। সেই নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রফিক আহমদ। এরপর মাসুম মোল্লা লিয়াকত আলীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। যখনই লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের হয়, তখনই হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু জাহির এমপি’র মাধ্যমে লিয়াকত আলীকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে পুনরায় মাসুম মোল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ সময় যুদ্ধাপরাধ মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেবেন শর্তে লিয়াকত আলীকে মাসুম মোল্লার পক্ষে নির্বাচনী কাজ করতে বাধ্য করেন। কিন্তু এই নির্বাচনেও পরাজিত হন মামুস মোল্লা। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ। এর পূর্বে ১৯৯০ইং সনেও মাসুম মোল্লা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নামমাত্র ৬৬৮ ভোট পেয়ে জামানত হারান। এছাড়া মোড়াকরি ইউনিয়নের আরেক রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার শফিউদ্দিন মাওলানা আবুল হাশেম মোল্লা মাসুমের বড় ভাইয়ের শ্বশুর এবং আবুল হাসেম মোল্লা মাসুমের দাদা আতাব মোল্লাও ছিলেন মোড়াকরি রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার মূলত মাসুম মোল্লার আত্মীয়-স্বজনই রাজাকার এবং তার মাধ্যমেই রাজাকাররা আওয়ামী লীগে পুনর্বাসিত হয়েছে।




error: Content is protected !!