আজমিরীগঞ্জে সহায় সম্বল ও আশ্রয়হীন অসহায় দুই বোন গুচ্ছগ্রামের তালিকা বা সরকারি ঘর থেকে বঞ্চিত
নিজস্ব প্রতিনিধি- আজমিরীগঞ্জে সহায়সম্বল ও আশ্রয়হীন অসহায় দুই বোন গুচ্ছগ্রামের তালিকা বা সরকার কর্তৃক নির্মিত ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোন ধরণের আশ্বাস মিলছে না।
জানা যায়,
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ঘোষনা দিয়েছেন, সহায়সম্বল, আশ্রয়হীন ও অসহায়দের ভাসমান ঁঅবস্হায় আর থাকতে দেয়া হবে না। যাদের বসতভিটা আছে কিন্তু ঘর নেই, তাদেরকে বসতঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। এ ছাড়াও যারা ভূমিহীন তাদের গুচ্ছগ্রাম বা সরকারি খাস ভূমিতে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে বসতঘর নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায়, আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিরাট ভাটিপাড়া গ্রামের অদূরে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে ৩০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। যার চুড়ান্ত তালিকা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও উপজেলার বদলপুর, জলসুখা ও কাকাইলছেওয়ের সরকারি ভূমিতে অসহায়, ছিন্নমূল ও আশ্রয়হীনদের বসবাসের সুযোগ করে দেয়া হবে। এ ছাড়াও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অনেককেই ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ভূমিহীনদের বা সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে নানা ধরণের অভিযোগ ও গুঞ্জন রয়েছে। কারণ সুবিধাভোগীদের অনেকেই অর্থ-বিত্তের মালিক। অন্যদিকে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অসহায়, দরিদ্র ও আশ্রয়হীন ভাসমান পরিবার এখনও অনেকেই রয়েছে। একই ভাবে আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন নগর গ্রামের বাসিন্দা কামিনী শীল একজন শ্রমজীবী হিসেবে জীবন যাপন করতেন। স্ত্রী ও দুই শিশু কণ্যাকে নিয়ে অন্যের আশ্রয়ে থেকে দিনমজুরের কাজ করতেন।
সময়ের বিবর্তনে দুই কণ্যাকে রেখে পিতা মাতা উভয়েই মৃত্যুবরণ করেন। এরমধ্যে বড়বোন সিতু রানী শীল (৫৫) শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোটবোন সরস্বতী রানী শীল (৪৫) অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে দু’বোনের আহার যোগাচ্ছে। এভাবেই অর্ধাহার ও অনাহারে দিন যাপন করছে দুই বোন। তাদের নিজস্ব কোন বসতভিটা নাই। প্রতিবেশীদের বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয়ে থেকে দিনাতিপাত করছে তারা। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের ও আশ্রয়হীন লোকেদের ঘর নির্মাণ তথা তালিকাভুক্ত করা হলেও ওই দু’বোনের কপালে জুটছে না কিছুই। তারা জানায়, এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও অদ্যাবধি সুবিধা বঞ্চিতই রয়েছে তারা।