আজমিরীগঞ্জ রনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগঃ

প্রকাশিত: ১:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২১

অপরাধডেস্কঃ
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ রনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি টুটুল দাসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের পাহাড়সম অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ রনিয়া গ্রামের রথীন্দ্র দাসের ছেলে টুটুল দাস দীর্ঘ দিন যাবত রনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে চাকরি করে আসছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রত্যক শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতি মাসে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। ১৫০ টাকা করে প্রতি মাসে ৬ মাস পর পর ৯০০ টাকা করে ১ বছরে ১৮০০ টাকা করে উপবৃত্তি পায়।আজমিরীগঞ্জ রনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি নিয়ে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। আজমিরীগঞ্জ রনিয়া গ্রামের মোঃ মফিজ মিয়ার ৩ ছেলে ১ সালমান মিয়া, ৫ ম শ্রেণি,২ মোরছালিন মিয়া, ৪ র্থ শ্রেণি, ৩ মোস্তাকিম মিয়া ২য় শ্রেণিতে পড়ে। তাদের উপবৃত্তির টাকা ১৫০ টাকা করে প্রতিবছরে জন প্রতি ১৮০০ টাকা করে, ৫৪০০ টাকার মধ্যে ৪৮০০ টাকা আসে।৪৮০০ টাকা আসার পর মফিজ মিয়ার স্ত্রী দপ্তরি টুটুল দাসের কাছে গেলে,দপ্তরি ৩০০০ টাকা দিয়ে দেয়। আর ১৮০০ টাকা দপ্তরি নিজেই গুনগুন আইটির মধ্যে রেখে দেয়।পরবর্তীতে মফিজ মিয়ার স্ত্রী ৩০০০ টাকা নিয়ে এসে তার স্বামী মফিজ মিয়াকে জানায়।মফিজ মিয়া জানার পর আবুল এন্টারপ্রাইজের মালিক নগদের এজেন্ট আবুল মিয়াকে ঘটনা বিস্তারিত জানালে, আবুল মিয়া জানায়, ব্যালেন্স স্যাটেইটমেন্ট চেক করলে ৪৮০০ টাকা দুই বার ক্যাশ আউট হয়। ৩০০০ হাজার টাকা তারা পায়,১৮০০ টাকা ঔই দপ্তরি হবিগঞ্জ গুনগুন আইটিতে ক্যাশ আউট করে।পরবর্তীতে টুটুল দাসকে সার্চ করলে স্বীকার করে যে সে ১৮০০ টাকা নিয়েছে, ১৮০০ টাকা আবুল মিয়ার কাছে জমা দিয়ে আসে। এই বিষয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠলে একে একে রনিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী সবাই অভিযোগ নিয়ে আসে। স্থানীয়রা জানান, ২০০ জন ছাত্র/ ছাত্রীর মধ্যে ৫০ জন ঠিক মতো ফেলেও, অনেক ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক গন মৌখিকভাবে অভিযোগ করে। অভিযুক্তরা জানায়, এই প্রতারনা করে সে চৌধুরী বাড়ির ২ঃ৫ কের জমি কিনে।দপ্তরি টুটুল দাসের বিরুদ্ধে প্রায় লক্ষাধিক টাকার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এইভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছে রনিয়া গ্রামের নিরীহ মানুষ। এই বিষয়ে রনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোহিনী ভট্টাচার্য জানান, আমি হবিগঞ্জ আছি, আগামীকাল বিদ্যালয়ে গিয়ে সরাসরি আলোচনা করবো। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়া জানান,আমি বাড়িতে আছি, এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




error: Content is protected !!