মোঃজামাল হোসেন লিটন,চুনারুঘাট(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ৭ম দফায় আবারও ভারি অস্ত্রের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
অস্ত্রের সন্ধান পেয়ে মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুর থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে অভিযান শুরু করে বিজিবি’র সদস্যরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্যানের ভেতরে বিজিবির অভিযান চলছে।
বিজিবির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। বুধবার (৩ মার্চ) সকালে প্রেস ব্রিফিং করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, দুপুর ১টা থেকে বিজিবির একটি টিম গহীন অরণ্যে খোঁড়াখুঁড়ি’র কাজ করছে। তবে কি কারণে তারা খোঁড়াখুঁড়ি করছে তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে তারা কোন উত্তর দেয়নি।
রাত সাড়ে ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজিবি’র সদস্যরা গহীন অরণ্যে অবস্থান করছিল।
এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
এরপর আবারো ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। সবশেষ ৬ষ্ট দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।