উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগের ঘটনায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও ইউএনও অফিসের দুই অফিস সহায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি – আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নিবাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক শরীফ উদ্দিন (৩১) এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক প্রতিদিনের বাণী পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পর উক্ত প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আসে। পর উক্ত ঘটনাটির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন ওই প্রশাসন। বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল অর্থাৎ ইউ,এন,ও অফিসের অফিস সহায়ক শরীফউদ্দিন এর সহযোগী হিসেবে বেড়িয়ে আসে উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী এনামূল হকের নাম। ওই দুই অফিস সহকারী একে অপরের যোগসাজশে কাকাইলছেওয়ে অনুষ্টিত ওরস থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সহিত জড়িত দুই অফিসের অফিস সহায়ক শরীফউদ্দিন ও এনামূল হককে গতকাল মঙ্গলবার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খাঁন। নোটিশে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর কাকাইলছেওয়ে আকবর শাহ’র মাজারে ওরস উপলক্ষে এলাকার একটি যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে গানের আসরের আয়োজন করা হয়। এদিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ শরীফ উদ্দিন উক্ত যুব সংগঠনের এক সদস্যকে মোবাইল ফোনে জানান, আপনারা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গানের অনুষ্টানের আয়োজন করেছেন। তাই ইউ,এন,ও স্যার ঘটনাস্হলে উপস্হিত হলে, গান বন্ধ করে দিবে।তাই স্যার যাহাতে এখানে না আসেন, তার ব্যবস্থা করা যাবে। তবে খরচাপাতি লাগবে। এ ঘটনার অযুহাতে অফিস সহায়ক শরীফ মোটরসাইকেলে চড়ে ঘটনাস্হলে উপস্হিত হয়ে গানের আয়োজক যুব সংগঠন থেকে নগদ ৮ হাজার টাকা চাঁদা নেয় বলে অভিযোগ উঠে। বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মী সহ এলাকার লোকজনের মাঝে চাওর হলে, সে নিজেকে বাঁচাতে অনেকের নিকট দৌঁড়ঝাপ শুরু করে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মুটোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, উনি তা রিসিভ করেননি। আরও জানা যায়, কাকাইলছেওয়ের মাহতাবপুর গ্রামের বাসিন্দা অফিস সহায়ক মোঃশরীফ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে লোকজনের নিকট থেকে নগদ অর্থ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। তৎকালীন উপজেলা নিবাহী অফিসার টিটন খিসার আমলে পুলিশ, এন্ডিং জুয়াড়িদের আটক করে মোবাইল কোর্টে হাজির করা হলে, শাস্তি কম করে দেয়ার অযুহাতে তাদের নিকট থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ওই অফিস সহায়ক। এলাকার লোকজন ও গণমাধ্যম কমীদের সহায়তায় ওই টাকা তার থেকে আদায় করা হয়। একই সময়ে পৌর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজোদি দাস (বীর উওম) সড়ক সংলগ্ন পুকুরে সরকারি জায়গা থেকে ট্রাক্টর ভতি করে মাটি এনে ভরাট করার অভিযোগে ট্রলিসহ লোকজনদের আটক করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। মোবাইল কোটে জরিমানার টাকা কমিয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে তাদের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এ ব্যাপারে ২০১৯ ইং সনের ১৯ ডিসেম্বর দৈনিক প্রতিদিনের বাণী পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আসলে, উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে লাখাই উপজেলা নিবাহী অফিসারের কাযালয়ে বদলি করা হয়। পর এক বছর আগে বদলি হয়ে তিনি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নিবাহী অফিসারের কার্য়ালয়ে পুনঃরায় যোগদান করেন। এদিকে অফিসে যোগদান করেই, মহান বিজয় দিবসের অনুষ্টানের কথা বলে কাকাইলছেও চৌধুরী বাজারে কতিপয় ব্যবসায়ীর নিকট থেকে আমন্ত্রণপত্রের বিনিময়ে নগদ অর্থ আদায় করেন তিনি। এ অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ ব্যাপারে অভিযোগ উঠলে উপজেলা নিবাহী অফিসার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গেছে।




error: Content is protected !!