কবে দখলমুক্ত হবে কক্সবাজার শহরের রাস্তা ও ফুটপাত? অস্বস্তিতে স্থানীয় জনগণ এবং পর্যটকরা।
উমার রাযী, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি-
কক্সবাজার শহরের অধিকাংশ ফুটপাত বিশেষ করে বাস টার্মিনাল, উত্তরণ, জেলখানা এবং বিকাশ বিল্ডিং পয়েন্টে রাস্তা ও ফুটপাতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, গ্যাসের সিলিন্ডার যত্রতত্র রেখে দেয়া, বিভিন্ন গ্যারেজের গাড়ি টায়ার রেখে জনসাধারণের হাটার জন্য রাখা ফুটপাত সহ প্রধান রাস্তার অধিকাংশ অসাধু চক্র ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। ফুটপাত দখলে থাকার কারণে বাধ্য হয়ে পথচারিসহ পর্যটকেরা ফুটপাত রেখে প্রধান রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এ কারণে প্রতিনিয়তেই সড়কে যানজটসহ ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দূর্ঘটনা। এমনকি প্রাণ হারানোর মতো ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।
জনসাধারণের দাবি এইসব ব্যপারে পৌরসভা ও প্রশাসনের নজরদারি নেই বললেই চলে। দ্রুত ফুটপাত দখলমুক্ত করে সর্বসাধারণের হাটার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই নাকি কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে ফুটপাত দখল করে এই ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে একটি সিন্ডিকেট চক্র এসে প্রতিদিনই সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১’শ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও দুই পাশের যেসব সিএনজি, বাস, ট্রাক পার্কিং করে তাদের থেকেও প্রতিনিয়তেই টাকা নিয়ে থাকে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ওসমান গনি বলেন, শহরে ঢুকার প্রধান পয়েন্ট হল বাস টার্মিনাল অথচ সেই বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত যেখানে সেখানে রাস্তার পাশে যদি এভাবে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও ভ্রাম্যমান দোকান বসে তাহলে যানজট কোন ভাবেই কমবে না এবং দিনদিন বাড়তে থাকবে। পাশাপাশি ফুটপাত ওদের দখলে থাকায় মানুষকে হাটার জন্য ঝুঁকি নিয়ে প্রধান সড়কে নেমে যাতে হচ্ছে যার কারণে প্রতিনিয়তেই কোন না কোন ভাবে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়,এসবে একশ্রেণীর লোকজন লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন। তাদের কারণে এই ভাবে গড়ে ওঠছে পর্যটক শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে এই অবৈধ গাড়ি পার্কিং এবং স্থাপনা। অব্যবস্থাপনার কারনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটক ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। এভাবে চলতে থাকলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলে জানান স্থানীয় লোকজনসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটকরা।