আসলাম উদ্দিন দিনাজপুর প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় টেউয়ের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে বিশ্বে প্রতি দেশেই দেখা দিয়েছে স্থবিরতা, করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশেও এর আক্রান্ত কম নয়। প্রতিদিন প্রায় ৮০-৯০ জন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।হাকিমপুর হিলি পৌরসভা করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। পৌর এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের দেখতে নিজে বাড়ি বাড়ি ছুটে চলছে মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত।সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হয়, হাকিমপুর হিলি পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত করোনা রোগীর বাড়ি বাড়ি খোঁজ খবর নিচ্ছেন। হাকিমপুর হিলি পৌর মেয়র যুবকের আইকন করোনা কে ভয় না করে একাধিক করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে যান তিনি। জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত একাধিক হত দরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থ, খাদ্য সামগ্রী ও ভিটামিন জাতীয় ফল প্রধান করেন। তিনি আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং সবসময় তাদের পাশে থাকার জন্য সবাইকে আহবান জানান।পৌর এলাকার করোনায় আক্রান্ত এক ব্যাক্তি বলেন,আমাদের পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জিবনের ঝঁকি নিয়ে দেখতে আসে সব সময় মুঠোফোনে খোঁজ খবর রাখেন।
হাকিমপুর (হিলি) পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, যাদের কাছে আমি ভোট চেয়ে মেয়র হয়েছি। তাদের এই দূর্দিনে পাশে থাকা আমার ঈমানী দায়িত্ব । করোনা মহামারি রোগীদের করুনা নয়, ভালবাসা নিয়ে তাদের পাশে থাকতেই চাই আমি নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে তাদের বাড়িতে যাচ্ছি। করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিরা আমাদেরই স্বজন। তাদেরকে অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা নয়। তাদের জন্য আমাদের মানবিক দৃষ্টি সজাগ রাখতে হবে। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে আহবান জানিয়েছি।তিনি আরো বলেন,পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতয়ী টেউ বৃদ্ধি পাওয়াই হাকিমপুর পৌরবাসীর ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সাময়িক আমদানি-রপ্তানি বন্ধের জন্য দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন ।পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত পরিবারে যেন মানসিক ও সমাজিক হেনস্তা শিকার না হয় তার জন্য এলাকাবাসীকে সচেতন করতেও কাজ করে যাচ্ছে মেয়র। আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা জয় করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।