করোনা লকডাউনে শ্রমিক সংকটে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিলো কলাপাড়া ও মহিপুর যুবলীগ ॥
রাসেল কবির মুরাদ , পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়াসহ
দক্ষিন উপকূলের সমগ্র মাঠ জুড়ে রয়েছে বোরো ধানের ক্ষেত। বৈশ্বিক মহামারি
করোনা ও লকডাউনের কারনে শ্রমিক সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
বিপদগ্রস্থ এসব কৃষকের পাশে পৃথক পৃথকভাবে দাঁড়িয়েছে কলাপাড়া উপজেলা
যুবলীগ ও মহিপুর থানা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। রবিবার সকাল থেকে দুপুর
পর্যন্ত প্রচন্ড রোদে টিয়াখালী ইউনিয়নের কৃষক রহিম মিয়ার ১ একর জমির ধান
ও মহিপুর সদর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক
দুরত্ব বজায় রেখে কৃষক আব্দুল আজিজের ১০ বিঘা জমির বোরো ধান কেটে বাড়িতে
পৌঁছে দিলো যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সহ-সাধারন
সম্পাদক মো: শহীদুল ইসণাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির, পৌর যুবলীগের
সহ-সভাপতি যুবরাজ, আরিফ, মারুফ, আলআমিন ও মহিপুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক
মিজানুর রহমান বুলেটের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম,
সুমন হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সিদ্দিক মোল্লাসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী
বোরো ধান কাটায় অশং গ্রহন করে।
টিয়াখালী ইউনিয়নের কৃষক রহিম মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, মহামারি করোনার
দ্বিতীয় ধাপে লকডাউনের কারনে আমার ১ একর জমির বোরো ধান যখন প্রচন্ড রোদে
ও অতিরিক্ত পেকে ক্ষেতেই ঝড়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের
নেতা-কর্মীরা শ্রমিক হয়ে আমার ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে। এজন্য যুবলীগ
নেতা-কর্মীদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।
মহিপুরের কৃষক আব্দুল আজিজ গনমাধ্যমকে বলেন, এ বছর বোরো চাষের জন্য
আবহাওয়া মোটেই ভালো ছিলনা। বোরো চাষের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোন বৃষ্টি
হয়নি। পুরো মৌসুম জুড়ে পুকুর, খাল-বিলের পানির উপর নির্ভর করতে হয়েছে।
এরপর ক্ষেতের ধান পেকে গেছে কিন্তু দেশে করোনার কারনে ক্ষেতের ধান কাটার
জন্য শ্রমিক না পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। শেষপর্যন্ত রবিবার মহিপুর
থানা যুবলীগের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আমার ক্ষেতের ধান কেটে বাড়িতে
পৌঁছে দিয়েছেন, এজন্য আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া।
এসময় কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসন
সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি/সম্পাদকের নির্দেশক্রমে
কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে মহামারি করোনা ও
লকডাউনের কারনে কৃষকের ধান কাটার শ্রমিক সংকট সামান্য পুষিয়ে দেয়ার
চেষ্টা করেছি মাত্র এবং উপজেলা যুবলীগের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত
থাকবে।
মহিপুর থানা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান বুলেট এ প্রতিবেদককে বলেন,
প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল সহযোগী সংগঠনকে
নির্দেশে করেছেন। বাংলাদেশ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ
সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের আহব্বানে আমরা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা
অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি। তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আমরা
বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিচ্ছি। যেখানেই কৃষকরা সমস্যায় পড়বেন সেখানেই
আমরা কৃষকদের সহযোগিতায় মাঠে নামবো।