কলাপাডায কৃষক সমিতির উদ্দ্যেগে গরুর বাজার বহাল রাখার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ॥
কলাপাডা পটুযাখালী প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারায়
দীর্ঘদিন থেকে বহুল প্রচলিত ও অতীব গুরুত্বপূর্ন গরুর বাজার বহাল রাখার
দাবিতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান
করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষক সমিতি নীলগঞ্জ ইউনিয়ন
শাখা ও পাখিমারা বাজার কমিটি যৌথভাবে এই গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি পেশ
করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির
মাহমুদ, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাডা উপজেলা শাখার আহ্বাযক জি এম
মাহবুবুর রহমান, যুগ্ন-আহবায়ক শিক্ষক আতাজুল ইসলাম, কমিউনিস্ট পার্টির
সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সদস্য কমরেড নাসির তালুকদার,
বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি কলাপাডা উপজেলা শাখার আহবায়ক প্রভাষক রফিকুল
ইসলাম, গণমাধ্যমকর্মী নযনাভিরাম গাইন (নযন), বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাডা
উপজেলা শাখার সদস্য মো: মজিবুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাজার
কমিটির সভাপতি রাজ্জাক সরদার, কোষাধ্যক্ষ ডা: শাহ আলম, বাংলাদেশ উপজেলা
আওয়ামী লীগের সদস্য রহমান তালুকদার, বাংলাদেশ নীলগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের
সহ-সভাপতি ফরিদ ডাক্তার, কৃষক জাকির গাজীসহ প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎ করে এলাকার দুটি বিবাদমান
গ্রুপের অভ্যন্তরীন কোন্দলে গুরুত্বপূর্ন এ হাট’টি বন্ধ ঘোষণা করায়
ইউনিয়নের কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, তাই অতীব প্রয়োজনীয়
এ হাট’টি বহাল রাখার দাবীতে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শাখা এই
স্মারক লিপি ও গনস্বাক্ষর কার্যক্রমের আয়োজন করে উপজেলা নিবার্হী
কর্মকর্তার নিকট পেশ করে। দাবী মানা না হলে পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষক
সমিতির উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবরে গনস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি পেশ করা
হবে। তাই ইউনিয়নের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাজার বহাল রাখার দাবিতে
এলাকাবাসীকে অংশ গ্রহণ করার জন্য জোরালো অনুরোধ করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শাখা।
উল্লেখ্য, নীলগঞ্জ ইউনিযন একটি প্রাচীন জনপদ এবং কলাপাডার কৃষিতে মডেল
ইউনিযন হিসেবে পরিচিত। এই ইউনিযনের কৃষিপণ্য এবং গরু-ছাগল উৎপাদন এবং
বিপণনে ইতিপূবে খ্যাতি অর্জন করেছে এ হাটটি । প্রচুর লোক সমাগম হয এ
হাটে। নীলগঞ্জ ইউনিযন এর মধ্যবর্তী স্থানে এই বাজারটি হওযায় ইউনিযনের
সমস্ত কৃষিপণ্য এবং গরু-ছাগল বিপণনের একমাত্র হাট এটি। দীর্ঘ বছর যাবৎ এ
হাটে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয় হয়ে আসছিলো।