কলাপাড়ার লালুয়ায় শের-ই-বাংলা নৌ-ঘাটিতে যাওয়ার হাজারো মানুষের দূর্ভোগের সেই রাস্তার সংষ্কার অব:শেষে শুরু॥
রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতীবাজার থেকে শের-ই-বাংলা নৌ-ঘাটিতে যাওয়ার ইটের রাস্তাটির সংষ্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ, বেসরকারী সংস্থা আভাস সহ স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সহযোগীতায় সড়কটির সংষ্কারের কাজ শুরু করেন। রাস্তাটির বেহাল দশা নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করলে বিষয়টি সকলের নজরে আসে। এলাকাবাসী উপজেলা পরিষদসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করেন।
সূত্রমতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় ছিল। এতে পায়রা বন্দরের শের-ই-বাংলা নৌঘাটিসহ লালুয়া ইউনিয়নের ৫/৬ টি গ্রামের কয়েক
হাজার মানুষের যাতায়তে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিষয়টি বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সকলের নজরে আসলে। কলাপাড়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়াম্যান
শাহিনা পারভিন সীমা তার পরিষদের অর্থ থেকে রাস্তাটি সংষ্কারের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেন। কিন্তু সে অর্থ দিয়ে রাস্তাটি আংশিক সংষ্কার সম্ভব হয়। পরবর্তীতে একটি বেসরকারী সংস্থা আভাস রাস্তাটি সংষ্কারের জন্য ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: লিটন সাউগার ব্যক্তিগতভাবে ৪০ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে ও নিজে তদারকী করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা করছেন বলে জানা যায়। এতে এলাকাবাসী অর্থ সহায়তাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, সংবাদকর্মীদের সংবাদ পরিবেশনের জন্য খুব দ্রুত রাস্তাটি সংষ্কার কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এছাড়াও যাদের আর্থিক সহায়তায় রাস্তাটি সংষ্কার করা সম্ভব হয়েছে তাদের প্রতিও এলাকাবাসী আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানায়।
লালুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. লিটন সাউগার বলেন, রাস্তাটি খানা-খন্দ হয়ে একটি মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছিল। উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ১
লক্ষ টাকার কাজ হলেও তাতে রাস্তাটির সামান্য সংষ্কার সম্ভব হয়। পরে বেসরকারী সংস্থা আভাসের বরাদ্ধের সাথে আমিও ব্যক্তিগতভাবে ৪০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছি। রাস্তাটির যে নাজুক অবস্থা তাতে সামান্য অর্থ দিয়ে সংষ্কার সম্পূর্ণ সম্ভব নয়।
কলাপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা পারভীন সীমা বলেন, রাস্তাটি নাজেহাল অবস্থা দেখে আমার উপজেলা পরিষদ হতে কিছু বরাদ্ধ দিয়েছি। সড়কটির
সংষ্কার সম্পূর্ণ করতে আরো অর্থের প্রয়োজন। রাস্তাটি সংষ্কারের জন্য
উপজেলা পরিষদের পরবর্তী বাজেটে আরো কিছু বরাদ্ধ রাখা হবে বলে তিনি জানান।