কলাপাড়ায় খাদ্য অধিদপ্তরের ৭টি পদ শুন্য, ধুকছে দৈন্যদশায়, রয়েছে নানাবিধ সংকটে ॥

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২২

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  ঃ   কলাপাড়ায় খাদ্য অধিদপ্তরে উপ-খাদ্য
পরিদর্শক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকায়
অফিসের দাপ্তরিক কাজ সহ দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারের ওএমএস, টিসিবি
কার্যক্রম তদারকিতে বিঘœ ঘটছে। অধিদপ্তরের জনবল সংকটে এলএসডির ২জন
নিরাপত্তা প্রহরী প্রেষনে অফিসে থেকে কার্যক্রমে সহায়তা করছে। এছাড়া
এলএসডিতে উপ-খাদ্য পরিদর্শক ২টি এবং নিরাপত্তা প্রহরী ১টি পদ শূন্য
রয়েছে। জনবল সংকটের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পরও কোন অগ্রগতি নেই।

খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়. বর্ষার পানি জমে খাদ্য গুদামের চারদিকে এখন
থৈ থৈ পানি। অভ্যন্তরে পানির প্রবেশ ঠেকাতে গুদামের ফ্লোর উচুঁ করায়
অন্তত: ৫০০ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য মজুদ কমে গেছে। জলাবদ্ধতায় বিঘœ ঘটছে
খাদ্য শস্য সরবরাহ ও গুদামজাত প্রক্রিয়ায়। জানালার গ্লাস ভাঙ্গা স্যাঁত
স্যাঁতে কোয়ার্টার গুলোতে ঝূঁকি নিয়ে বসবাস করছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
অস্বাভাবিক জোয়ারে ধুয়ে গেছে জেটি ঘাটের সড়ক। আর ভাঙ্গা চোড়া জেটিতে
বার্জ, কার্গো থেকে খাদ্য শস্য খালাস দুস্কর হয়ে উঠেছে। পল্টুন না থাকায়
খাদ্য শস্যের বস্তা মাথায় নিয়ে পা ফসকে জেটি থেকে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার
শিকার হচ্ছেন শ্রমিকরা। এছাড়া বার্জ, কার্গো গুলো খাদ্য শস্য খালাসে
জোয়ারে জেটিতে ভিড়তে পারলেও ভাটার আগেই সরে যেতে হচ্ছে জেটি থেকে। এতে
খাদ্য শস্য খালাসে অতিরিক্ত সময় লাগছে শ্রমিকদের। পাশা পাশি রয়েছে জনবল
সংকট। এমন চিত্র পটুয়াখালীর কলাপাড়া খাদ্য অধিদপ্তরের।

সূত্রটি আরও জানায়, স্থানীয় খাদ্য শস্য সরবরাহ কেন্দ্র (এলএসডি)’র জেটি
ঘাটে কোন পল্টুন না থাকায় খাদ্য শস্য নিয়ে আগত বার্জ, কার্গো গুলো ঘাটে
ভেড়ানো খুবই কষ্ট কর। নদীতে জোয়ার ভাটার সময় জলযান গুলো ঘাটে বেঁধে রাখা
অসম্ভব হয়ে পড়ে। ঝূঁকি নিয়ে শ্রমিকদের খাদ্য শস্য খালাস করতে হয় এবং
অতিরিক্ত সময় লাগে। এলএসডি ক্যাম্পাস থেকে জেটি ঘাটের ১০০ মিটার রাস্তা
জরুরী মেরামত প্রয়োজন। ক্যাম্পাসে একদিকে রয়েছে জলাবদ্ধতা, অপরদিকে
ঝূঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসিক ভবন। এছাড়া ১৯৯৪ সালে
স্থাপিত ৪টি গুদামের ৩টি ৫০০ মে.টন করে এবং অপরটিতে ১০০০ মে.টন খাদ্য
শস্য গুদামজাত করার সক্ষমতা থাকলেও গুদামের ফ্লোর উঁচু করায় বর্তমানে ৫০০
মে.টন সক্ষমতা কমে গেছে।

এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন জানান, এলএসডি ক্যাম্পাসে
প্রবেশের রাস্তা, ড্রেন, অফিস ও আবাসিক কোয়ার্টারের উঁচু করনের কাজ চলমান
রয়েছে। প্রবেশের রাস্তা হতে পশ্চিমের সীমানা প্রাচীর পর্যন্ত বালু দিয়ে
ভরাট করায় এফএস-৫ ও এফএস-৬ হতে পূর্ব সীমানা পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
হয়েছে। এতে খাদ্য শস্যের গুনগত মান রক্ষায় বাকী অংশে জরুরী মাটি ভরাট ও
ড্রেন করা প্রয়োজন।

কলাপাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: নুরুল্লাহ জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের
চলমান জনবল সংকট এবং অধিদপ্তরের এলএসডি ক্যাম্পাস ও জেটি ঘাটের সমস্যা
নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

এবিষয়ে বক্তব্য জানতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: লিয়াকত হোসেনর ব্যবহৃত
মুঠো ফোনে বারবার চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন না হওয়ায় তার বক্তব্য জানা
যায়নি।




error: Content is protected !!