কলাপাড়ায় ধানখালী ইউনিয়নে ২ কি:মি: রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ ব্যাপক জনদুর্ভোগ ॥

প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২১

রাসেল কবির মুরাদ , পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ার ধানখালী
ইউনিয়নে লোন্দা গ্রামে একটি সড়ক পাকাকরন কাজ বন্ধ থাকায় জনসাধারনের
দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কাজ শুরু করার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাস্তার
মাঝখানের মাটির বেড কেটে দু’পাশে ফেলে রেখে ঠিকাদার লাপাওা। স্থানীয়
সরকার প্রকৌশল অধিদপতরের দু’মাস পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকায় কৃষক ও সাধারন
মানুষের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। লোন্দা গ্রামে মাটির কাঁচা রাস্তা পাকাকরন
করার জন্য দু’মাস আগে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। অথচ এই রাস্তা
ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য সদরের
সাথে যাতায়াত করতে হয়ও ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার লোক দু’টি
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র যাতায়াত করে। ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু ঠিকাদার রাস্তার মাঝখানের মাটি কেটে
দু’পাশে ফেলে রেখেছে। কয়েক মাস ধরে অনাবৃষ্টি থাকায় কৃষক ও সাধারন
মানুষের কোনো চলাচল কোনো সমস্যা হযনি। পায়ে হেঁটে ও গাড়িতে চলাচল করতে
পারছে এখন গত তিন-চার ধরে বৃষ্টিতে এখন পানি জমে ছোট মিনি পুকুরের মত হয়ে
রাস্তা এখন পানিতে একাকার হয়ে গেছে। কোনো কোনো জায়গা কোমর সমান আবার কোন
জায়গা হ্াঁটু সমান পানি জমা হয়ে থাকছে সড়কটিতে। বালী না ফেলায় ওই অবস্থা
সৃষ্টি হয়েছে। ওই রাস্তাটি নির্মান কাজ না করায় এখন শত শত পরিবারের
ভোগান্তি। কাদাপানি গাঁয়ে জামা কাপড়ে লাগিয়ে চলাচল করতে হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপতরের(এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সুত্রে জানা
যায়, দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি নির্মানে প্রায় দুই মাস আগে ঠিকাদারকে
কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। নতুন করে যে রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে তার ব্যয় ধরা
হচ্ছে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
স্থানীয়রা এ প্রতিবেদককে বলেন, বিকল্প রাস্তা না থাকায় এটি আমাদের
যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। আগে মাটির রাস্তা ছিল আমরা কষ্টেশিষ্টে
যাতায়াত করছিলাম। কিন্তু উন্নয়ন নামে দীর্ঘকাল সেই রাস্তায় মাটি কেটে
বালি না ফেলে এখন পানি জমে পুকুরের মত তৈরি হয়েছে। আমাদের হেঁটে চলাফেরাই
এখন কষ্টসাধ্য। বর্তমানে জনদুর্ভোগ লাঘবে শতশত পরিবার উর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

লোন্দা গ্রামের মো: শহিদুল আলম জানান, এই এলাকা খুবই অবহেলিত এলাকা।
প্রতিদিন গড়ে এক হাজার লোক দু’টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র যাতায়াত করে। প্রায়
আড়াই মাস ধরে কাজটি পড়ে রয়েছে। বর্তমানে ৩/৪ ফুট পানি জমা হয়ে আছে।
এলাকার লোকজনের চলাচল করতে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ধানখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: শাহজাদা পারভেজ টিনু মৃধা
সাংবাদিকদের বলেন, ওই রাস্তা নিয়ে এলাকার জনগন খুবই দুর্ভোগে আছে। যাতে
তারাতারি ঠিকাদার বর্ষা মওসুম আসার আগে রাস্তার কাজটি দ্রুত গতিতে করে
এটুকু আমার আহবান।

পটুয়াখালীর ঠিকাদার প্রতিষ্টান মের্সাস দেলোয়ার হোসেন টের্ডাসের মালিক
মো.দেলেয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের বালী নিয়ে ঝামেলার কারনে কাজে
বিলম্ব হয়েছে। ওই গ্রামের লোকজন বালীররেট বেশি চাচ্ছে আমার অফিস থেকে যে
রেট দেয়া তার চেয়ে অনেক বেশি দাম চাচ্ছে। তার পর আমি বালি নেয়ার ব্যবস্থা
করছি। বালীর নেয়ার জন্য ড্রেজার বসানো হয়েছে।

কলাপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপতর এলজিইডির প্রকৌশলৗ মো: মোহর আলী
জানান, ঠিকাদার কাজ করতে চায় কিন্তু স্থানীয় লোকজন ঠিকাদারকে বালির পাইপ
পর্যন্ত জমি দিয়ে নিতে দেয় না। তাহলে ঠিকাদার কিভাবে কাজ করবে। এজন্য
কাজের ধির গতি।




error: Content is protected !!