কলাপাড়ায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতির উদ্যোগে ৪০ কেজিতে ধানের মন নির্ধারণের দাবিতে কৃষক সমাবেশ ও বিক্ষোভ
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় ৪০ কেজিতে মন ও ধানের লাভজনক দাম নির্ধারণসহ নানা দাবিতে কৃষক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে পাখিমারা বাজারে এই কৃষক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলার সভাপতি ও নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক জিএম মাহবুবুর রহমান। সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক ধরে পাখিমারা বাজার প্রদক্ষিণ করে সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমরেড নাসির তালুকদার সম্পাদক বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, খেপুপাড়া শাখা ও সদস্য বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা, প্রভাষক মো. রফিকুল ইসলাম আহ্বায়ক বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা, সভাপতি মো. নাসির উদ্দীন বিপ্লব কুয়াকাটা প্রেসক্লাব, সাধারণ সম্পাদক মো. আতাজুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা, সহ-সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা, সদস্য মো. আ: হক গাজী বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে গনমাধ্যম কর্মী নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন) প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
এসময় বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মাপ ৪০কেজিতে মন থাকলেও কলাপাড়া উপজেলার সর্বত্র কৃষকদের ঠকিয়ে ধানের মন নেওয়া হয় ৪৮ /৪৯ কেজিতে। এছাড়াও আলু, পিয়াজ, তরকারি, চাল, ডাল, তেল, লবন, মাছসহ সমস্ত পন্য ৪০ কেজিতে ক্রয় বিক্রয় হলেও শুধু ধান কেনার সময় ৪৮/৪৯ কেজিতে ক্রয় করে দালাল চক্র ধান ব্যাবসায়ীরা। এছাড়াও বক্তারা আরও বলেন, কৃষকদের প্রতিকেজি ধান উৎপাদন করতে খরচ হয় ৩১ টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারনে সেই ধান বিক্রি করতে হয় ২০ টাকা কেজী দরে। সেক্ষেত্রে কৃষকদের প্রতিকেজিতে ১১ টাকা লস হয়। যে কারনে কৃষকরা ফসল উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে তারা জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ধানের দাম ১২০০ টাকা নির্ধারণ করলেও তা গোডাউনে বিক্রি করার মত সুযোগ কৃষকরা পাচ্ছেনা। সেখানেও তারা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই বক্তারা ৪০ কেজিতে মন, ধানের লাভজনক দাম, সরকারি ভাবে ধান ক্রয় নিশ্চিত করতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যাবস্থা নেওয়ার জোরালো আহ্বান জানান তারা।