কলাপাড়ায় বিএনপি কার্যালয় অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর-লুটপাট ॥

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২২

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  কলাপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে সন্ত্রাসী
হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার
দিকে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীরা
হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটসহ  বিএনপি  কার্যালয়ের টেবিল-চেয়ারসহ ও আসবাবপত্র
ভেঙে চুরমার করে। বিএনপি এ ঘটনার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগকে দায়ী করে।
এদিকে উপজেলা যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক মো. মামুন শিকদারের ফেরিঘাট এলাকার
ঠিকাদারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর চ¡ালায় সন্ত্রাসীরা। এতে তার অফিসের
আসবাবপত্র অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় বলে দাবি করেন।

কণাপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. হারুনর রশীদ বলেন, ‘মূলত বরিশাল
বিভাগীয় সমাবেশকে বানচাল করার জন্য আওয়ামীলীগ মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। তবে
এতটুকু বলতে পারি, কোনো কিছুই এবার আমাদের রুখতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।

কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক জানায়, হামলা-ভাঙচুরের সময়
বিএনপি নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনসহ
বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে বলে
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়। এভাবে বার বার একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে
হামলা হয়, অথচ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তা দেখেও দেখছেন না, যা
দু:খজনক।

কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান চুন্নু
তালুকদার জানান, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৫ নভেম্বর বরিশাল বিভাগীয়
সমাবেশ নিয়ে উপজেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয়
কার্যালয়ে সমবেত হয়েছিল। সভা শেষ করে যুবদলের নেতা-কর্মীরা সবাই যে যার
মতো করে চলে যায়। এরপরই হামলার ঘটনা ঘটে। ৫০-৬০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপটির
হাতে বগি, রামদা, লাঠিসোটা ছিল। সন্ত্রাসী হামলায় দলীয় কার্যালয়ের
চেয়ার-টেবিল, টিভিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর হয়েছে। প্রায় আধা ঘন্টা
ধরে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটসহ এ তান্ডব চলে।

কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী হুমায়ুন সিকদার জানায়, এ হামলার জন্য
তিনি আওয়ামীলীগকেই দায়ী করেন। এর কারণ হলো ওরা একদিকে হামলা করেছে,
আরেকদিকে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়েছে। পুরো কার্যালয়টি ওরা ভেঙে লন্ড ভন্ড
করে দিয়েছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব
তালুকদার বলেন, কে-কখন এ হামলা করেছে, তা আমরা কিছুই জানিনা। এটি তাদের
অভ্যন্তরীণ কোন্দলও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জসীম বলেন,  হামলা-ভাঙচুর
হয়েছে কীনা, তা এ মুহুর্তে বলতে পারছিনা। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।




error: Content is protected !!