কলাপাড়ায় সম্মেলনের ২০ মাস পর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষনা, বঞ্চিত ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ,নিন্দা ও প্রতিবাদ ॥

প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২১

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের
নবগঠিত কমিটিতে বঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের পরীক্ষীত ও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা
। কমিটিতে নতুন করে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে বেশ কিছু নতুন মুখ। যাদের দলের
দু:সময়ে দেখা না গেলেও দল ক্ষমতায় আসার পর রাজনীতির মাঠে সরব হতে দেখা
গেছে। এছাড়া কমিটিতে জ্যেষ্ঠতা লংঘনের অভিযোগ করেছেন দলের ত্যাগী
নেতা-কর্মীরা। শনিবার শেষ বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট
নতুন কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামীলীগ। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,
সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত নতুন কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে
ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর ২০১৯ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় শেখ কামাল কমপ্লেক্স অডিটরিয়ামে কমিটি গঠন
নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় রাজনীতি। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন’র উপস্থিতিতে সভাপতি, সাধারন
সম্পাদক’র নাম ঘোষনার প্রায় দু’বছর পর অনুমোদন পায় নতুন এ কমিটি।

স্থানীয় ও নির্ভরযোগ্য দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের দু:সময়ে হামলা,
নির্যাতনের শিকার হওয়া দলের ত্যাগী নেতা কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি
আ: বারেক মোল্লা, লতাচাপলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা: সিদ্দিকুর
রহমান বিশ^াস, মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৪৩ বছর সভাপতির দায়িত্ব
পালনকারী আ: ছালাম আকনের জায়গা হয়নি কমিটিতে। মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের
সভাপতি আ: মালেক আকন, সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাওলাদারের নাম নেই কমিটিতে।
ধূলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আ: জলিল মাষ্টারের পদ মেলেনি
নতুন কমিটিতে। সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা এ এম মিজানুর রহমান
বুলেটের নাম নেই নতুন কমিটিতে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো:
হুমায়ুন কবির সর্বাধিক ভোট পেয়ে তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও তার নাম
দেখা যায়নি কমিটিতে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিত নেতা আ: বারেক মোল্লা বলেন, আমি মানতে
পারছিনা আমার নাম কমিটিতে নাই। মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি
আ: ছালাম আকন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, দল করার অপরাধে জাতীয়
পার্টি-জামাত-বিএনপি আমার হাত পিটিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিল। বহু হামলা-মামলার
শিকার হয়েছি। যার পুরস্কার দিয়েছে এতদিন পর দল। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও
পৌর কাউন্সিলর মো: হুমায়ুন কবির বলেন, কলাপাড়া থেকে আমার নাম গিয়েছিল,
জেলায় তদ্বিরের অভাবে বাদ পড়েছে। তবে নতুন যাদের নাম এসেছে তাদের
রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডও দেখা উচিৎ ছিল।

উপজেলা আওয়ামীলীগের নব নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ:
মোতালেব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ত্যাগী নেকা-কর্মী যারা বাদ পড়েছে
তাদের নাম উপজেলা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করে আবার জেলায় অনুমোদনের জন্য
প্রেরন করা হয়েছিল।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন
বলেন, উপজেলা থেকে যে তালিকা প্রেরন করা হয়েছে তাই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।




error: Content is protected !!