কাউখালীতে সন্ধ্যার ভাঙ্গনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কয়েক গ্রাম
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি; নদী-নালা-খাল-বিল এই নিয়ে কাউখালী উপজেলা। সন্ধ্যা, কচা, কালীগঙ্গা, গাবখান ও চিরাপাড়া নদী বেষ্টিত এই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন। প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে উজানের ঢলে ভেসে আসা স্রোতে ভেঙ্গে যায় শত শত ঘর বাড়ি ও স্থাপনা। নিস্ব হয়ে গেছে নদীর তীরবর্তী শত শত পরিবার। তাদের জীবন এখন অর্ধাহারে অনাহারে কাটে। গত কয়েকদিন ধরে বন্যার পানি ও অমাবস্যার জোয়ারে পানি বেড়ে যাওয়ায় স্রোতে ভেসে গেছে উপজেলার নদীর তীরবর্তী অনেক স্থাপনা ও রাস্তাঘাট এবং ফসলী জমি। সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে রয়েছে সোনাকুর গ্রাম, রঘুনাথপুর, সয়না, মেঘপাল, গন্ধর্ব, দত্তের হাট, আমরাজুড়ী, আশোয়া, মাগুড়াসহ ১০-১২টি গ্রামে বেশিরভাগই স্থাপনা সন্ধ্যায় হারিয়ে গেছে। এরমধ্যে ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আশোয়া, দত্তেরহাট, সোনাকুর এবং ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সয়না, রঘুনাথপুর, মেঘপাল গ্রাম উপজেলার মানচিত্র থেকে নদী ভাঙ্গনের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে। ঝঁুকির মধ্যে রয়েছে গন্ধর্ব হাইস্কুল ভবন, আমরাজুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপজেলা খাদ্য গুদাম। এছাড়াও ছোট ছোট ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নদী ভাঙ্গনে হারিয়ে গেছে। তারমধ্যে সোনাকুর পালপাড়ার মৃৎ শিল্প কয়েকশ পরিবারের ঘর বাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ায় নিস্ব হয়ে গেছে। হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্পটি। সরকারিভাবে কোন বেরিবাধ কিংবা স্থাপনা রক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী নৌ মানববন্ধন, স্মারক লিপি, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেও কোন ফল পায়নি বলে জানান এলাকাবাসী। এব্যাপারে কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া জানান, নদী ভাঙ্গন রোধে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে এবং উপজেলার স্থানীয় পর্যায়ে মানব বন্ধন, স্মারক লিপিসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নদী তীরবর্তী ঘর বাড়ি হারানো শত শত মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।