কিশোরগঞ্জের হাওরের সড়ক ঘুরে দেখেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ

প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২০

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
(২০ জুলাই) দুপুরে পুলিশের গাড়িতে চড়ে কিশোরগঞ্জের তিন হাওর উপজেলার (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) অলওয়েদার সড়ক ঘুরে দেখেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এ সময় রাষ্ট্রপতির গাড়ির চালক ছিলেন হাওর উন্নয়নের অন্যতম রূপকার বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক। হাওরের উন্নয়নে রাষ্ট্রপতির স্বপ্নের বাস্তবায়ন হচ্ছে ছেলের মাধ্যমে। তাই হাওরবাসীর স্বপ্নপূরণের বিস্ময়কর সড়ক ভ্রমণে চালকের আসনে ছিলেন ছেলে তৌফিক।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছর হাওরের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগে বিভিন্ন নদীতে পাঁচটি ফেরি বসানোর পর ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম থানায় পুলিশের তিনটি নতুন ও অত্যাধুনিক মডেলের পিকআপ সরবরাহ করা হয়। ওই সময় প্রথমবার গাড়ি চালিয়ে বাড়ি যান রাষ্ট্রপতির ছেলে, বিষয়টি দেখে অবাক হয়েছিলেন হাওরবাসী।

সোমবার মিঠামইন থানার অত্যাধুনিক মডেলের পিকআপযোগে রাষ্ট্রপতি বাবাকে স্বপ্নের প্রকল্প অলওয়েদার সড়ক ঘুরে দেখাতে নিয়ে যান রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক। মিঠামইনের কামালপুরে নিজের বাড়ি থেকে অলওয়েদার সড়ক ধরে প্রথমে অষ্টগ্রাম উপজেলার জিরো পয়েন্টে যান রাষ্ট্রপতি। পরে সেখান থেকে একই সড়ক ধরে মিঠামইন ও ইটনা সড়ক ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা বিশাল অটোরিকশার বহর নিয়ে রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হন। স্বপ্নের সড়ক পরিদর্শন করে আবার গাড়িতে চড়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন রাষ্ট্রপতি।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুর দুইটা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নিজের ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে মরদেহ নিয়ে রোববার (১৯ জুলাই) মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের বাড়িতে আসেন রাষ্ট্রপতি।

রোববার সন্ধ্যায় মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল হাইয়ের মরদেহ দাফন করা হয়। ভাইয়ের জানাজা শেষে পরদিন ঢাকায় ফেরার কথা থাকলেও হাওরে স্বপ্নের বাস্তবায়ন নিজ চোখে দেখতে আরও দুইদিন থেকে যান তিনি। সোমবার স্বপ্নের প্রকল্প অলওয়েদার সড়ক ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি।

কিশোরগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরে বর্ষা মৌসুমেও প্রশস্ত পাকা সড়কে চলছে মোটরযান। যেতে যেতে রাস্তার দুই পাশে শোনা যাবে হাওরের উত্তাল ঢেউওয়ের গর্জন। কচুরিপানার মতো ভাসতে থাকা গ্রামগুলোর পেছনে হাতছানি দিয়ে ডাকবে নীল আকাশ। তার বুকজুড়ে জমে থাকা সাদা মেঘে বিকেলের আলো পড়বে ঝলমলে রূপ সম্মোহন জাগাবে পথিককে।

এমন স্বপন ছিল ভাটির শার্দুল, আজীবন সংগ্রামী বরেণ্য রাজনীতিক আবদুল হামিদের। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই স্বপ্ন পাখা গজাতে শুরু করে তার। গত অর্থবছরে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইটনা, মিঠাইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে যুক্ত করে সারা বছর চলাচল উপযোগী ২৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে সড়ক বিভাগ। এ সড়ক নির্মাণের পর বদলে যায় হাওরের সার্বিক চিত্র। দেখে মনে হয় পুরো হাওর এখন পর্যটন এলাকা।




error: Content is protected !!