কিশোরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর কৃষক বদিউর রহমান হত্যা মামলার রায়ে আ. সাত্তার নামে এক জন কে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককেই এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও এই মামলায় আরো ১০ জন আসামি কে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় প্রদান করেন। এই সময় অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি আ. সাত্তার আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। সে দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক রয়েছেন।
চাঞ্চল্যকর কৃষক বদিউর রহমান হত্যা মামলার রায়ে দন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন আ. সাত্তার (মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত)। এছাড়াও ৫ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবু তাহের, মো. তবারক হোসেন, মো. মেনু মিয়া, মো. নূরুল ইসলাম ও মো. আনোয়ার হোসেন। সেই সাথে তাদের প্রত্যেককেই এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন বিচারক। এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত ৫ জন আসামিরা হলেন, সিরাজ, আব্দুল আলী, মো. শফিকুল ইসলাম, মন্নাক, দীন ইসলাম, মো. দেলোয়ার, জিয়া, মো. শাহীন, নূরুল ইসলাম ও হাসান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ধীতপুর গ্ৰামের কৃষক বদিউর রহমানের সাথে আসামিদের পূর্ব বিরোধ ছিল। সেই পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই দুপুরের দিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কৃষক বদিউর রহমানকে পিটিয়ে ও বল্লমবিদ্ধ করে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় ২৬ জুলাই নিহতের ছেলে মো. গোলাপ মিয়া বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর ১৭ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার বিচারকাজ চলার সময় আ. বারিক নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার সমস্ত আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে ৬ সেপ্টেম্বর সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় প্রদান করেন।
চাঞ্চল্যকর কৃষক বদিউর রহমান হত্যা মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি জীবন কুমার রায় ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।