রুহুল আমিন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ বুধবার (১৯ আগষ্ট) দিবাগত রাতে পাওয়া সংগৃহীত করোনা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন করে আরো ২১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পজেটিভ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৩৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ১০ জন করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। এতে মোট সুস্থের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক নিয়মিত সর্বশেষ তথ্য বুধবার (১৯ আগষ্ট) দিবাগত রাত ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনে উপস্থাপন করেছেন কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান আরো জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে গত ১৭, ১৮ এবং ১৯ আগষ্ট শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রি-আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ সংগৃহীত মোট ৯৪ জনের নমুনা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। প্রকাশিত নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৭২ জনের নমুনা নেগেটিভ এসেছে। বাকি ২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে এর মধ্যে পুরাতন পজিটিভ ১ জনের আবারো নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে এবং নতুন করে জেলায় আরো ২১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
জেলায় নতুন করে করোনায় শনাক্ত হওয়া এই ২১ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৩ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৩ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২ জন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ইতোমধ্যে জেলায় করোনায় মোট শনাক্তের মধ্যে মোট ৪৩ জন মৃত ব্যক্তি রয়েছেন। উপজেলাওয়ারী হিসাবে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১৩ জন, হোসেনপুর উপজেলার ১ জন, করিমগঞ্জ উপজেলার ২ জন, তাড়াইল উপজেলার ১ জন, কটিয়াদী উপজেলার ২ জন, কুলিয়ারচর উপজেলার ৩ জন, ভৈরব উপজেলার ১৪ জন, নিকলী উপজেলার ৩ জন, বাজিতপুর উপজেলার ২ জন, ইটনা উপজেলার ১ জন ও মিঠামইন উপজেলার ১ জন রয়েছেন।
এইদিকে জেলায় করোনা ভাইরাস থেকে নতুন করে ১০ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৬ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১ জন, ভৈরব উপজেলায় ২ জন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। জেলায় এর আগে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৭ জন। ফলে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৭ জন। যা মোট করোনায় আক্রান্তের প্রায় ৮৭.০৯ শতাংশ ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান আরো জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় গত ১৮ আগষ্ট (মঙ্গলবার) পর্যন্ত করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৪১ জন। আজ ১৮ আগষ্ট (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ৯টা পর্যন্ত রিপোর্টে আরো ২১ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় বর্তমানে বেড়ে ২ হাজার ৩৬২ জনে দাঁড়িয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বমোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৬২ জনের মধ্যে, উপজেলাওয়ারী হিসাবে সদর উপজেলায় ৭৭৬ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ৬০ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১২৫ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১০২ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ১৩২ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১৩৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১১৮ জন, ভৈরব উপজেলায় ৫৮৭ জন, নিকলী উপজেলায় ৪৭ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ১৯২ জন, ইটনা উপজেলায় ৩৩ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৪২ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১৪ জন এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
বর্তমানে জেলায় সুস্থ ও মৃত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা ২৬২ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে এবং বাকি ২৩২ জন প্রত্যেকের নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। উপজেলাওয়ারী হিসাবে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৩০ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ১১ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১৫ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ২০ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০ জন, ভৈরব উপজেলায় ৩১ জন, নিকলী উপজেলায় ২ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২০ জন, ইটনা উপজেলায় ১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৪ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ জন বর্তমানে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান আরো জানান ১৭, ১৮ এবং ১৯ আগষ্ট কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে সংগৃহীত করোনার নমুনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো পেন্ডিং রয়েছে।