কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক,লালন শাহ সেতুর বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি।
মোঃ শৌভন আহম্মেদ সবুজ নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও দৌলতপুরে পল্লী বিদ্যুতের মূল্যবান ও জরুরি বিদ্যুতের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কফেজান স্কুলের সন্নিকটের ট্রান্সফরমার, ব্রাক অফিসের সামনের ট্রান্সফরমার, ক্ষেমিরদিয়াড় ও দৌলতপুর থানা এলাকার কামালপুরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ রোববার ভেড়ামারা লালন শাহ সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।
আজকের চোরাই ট্রান্সফরমারটির আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। এই ট্রান্সফরমারটি চুরি হবার কারনে টোল প্লাজার বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জেনারেটরের সাহায্যে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা চলছে। ঘণঘণ ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম দেবাশিষ কুমার ভট্রাচার্যের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চুরির ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেন।তিনি বলেন, আজকের চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারটি সেতু কর্তৃপক্ষের নিজস্ব মালিকানার সম্পত্তি। ঘণঘণ চুরির বিষয়ে পল্লী বিদ্যুত সমিতির পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডিজিএম বলেন, প্রতিটি চুরির বিষয়ে লোকাল থানায় জিডি/এফআইআর করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে নিয়মিত উঠান বৈঠক ও গণশুনানী অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবুও কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে মূল্যবান বৈদ্যুতিক সামগ্রী চুরি করছে। সচেতন এলাকাবাসীর অভিমত, আইন শৃঙ্খলার দায়ীত্বে নিয়োজিত বাহিনী সজাগ হলে এবং চোরাই ট্রান্সফরমার উদ্ধার করতে পারলে ও দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হলে ঘণঘণ ট্রান্সফরমার চুরিজনিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ খোয়া যাওয়ার হাত থেকে পরিত্রাণ মিলতে পারে।তারা মনে করেন, এরুপ ঘটনার সাথে সংঘবদ্ধ কোন চক্র জড়িত থাকতে পারে।
প্রতিবেদক এব্যাপারে বাহিরচর ইউনিয়নের বিট অফিসার ভেড়ামারা থানার এসআই মিন্টুর সাথে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি এখনো অবহিত নন বলে জানান। তবে থানায় কোন অভিযোগ বা জিডি হলে হলে বিষয়টিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি জানান।
এবিষয়ে জনার জন্য ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে থানার তদন্ত অফিসার মোঃ জহুরুলের সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক অপরাধ কে জানান, ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি তিনি জানেন না, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তিনি দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন ,এবং ভেড়ামারা থানার ডিউটি অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।