কুষ্টিয়ায় শান্তির দূত হিসাবে সমধিক পরিচিত পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত
কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার বর্তমান পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত মানবতার অগ্রদূত, মাদকমুক্ত সভ্য সংস্কৃতির রূপকার ও জনবান্ধব এর জনকল্যাণকর নানা উদ্যোগ সফল ভাবে সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। কুষ্টিয়ায় শান্তির দূত হিসাবে সমধিক পরিচিত তানভীর আরাফাত ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান মহোদয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এক জনবান্ধব সংগঠন” নারী প্রত্যয়” এর মাধ্যমে কাউন্সেলিং, বিকল্প, বিরোধ নিষ্পত্তি, আইনগত পরামর্শ প্রদান, পূর্ণবাসন সেবার মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্যবিবাহ,বহূবিবাহ, যৌতুক যৌন হয়রানি, নারী ও শিশু পাচার, অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্য করা, দেনমোহর ও খোরপোষ সংক্রান্ত বিরোধ, তালাক, শিশুশ্রম, পিতামাতার ভরণপোষণ সংক্রান্ত বিষয় ২০২০ সালের অক্টোবর নাগাদ প্রায় দেড় শতাধিক বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন।
কুষ্টিয়া পুলিশ প্রশাসন এখন জনবান্ধব। কুষ্টিয়ায় সাতটি থানায় নারী ও শিশু বিষয়ক ডেক্স গঠন করে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন কুষ্টিয়া পুলিশ। কুষ্টিয়ার সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সূত্রে, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যত পুলিশ সুপার এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে একজন এসপি এস এম তানভীর আরাফাত। জনকল্যাণকর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনিই যে শ্রেষ্ঠ ইতিমধ্যে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রকাশিত বার্তায় যে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ কর্তৃক বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী হাজির করে মামলা নিষ্পত্তিতে সহায়তা করে প্রথম স্থানে আছেন। এই জন্য মাননীয় প্রধান বিচারপতি কুষ্টিয়া জেলা আদালত পরিদর্শন কালে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এছাড়া তিনি মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ গ্রহণ করেন যেখানে বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলার এসপি মাদক প্রতিরোধের জন্য মাদকসেবী অথবা ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ার দেয় সেখানে শান্তির দূত এসপি এস এম তানভীর আরাফাত ২২২ জন মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আসার এবং মাদক মুক্ত জীবন গড়ার জন্য অনুরোধ করেন এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৬।০৫। ২০১৯ তারিখে ২২২ জন মাদকসেবী ও ব্যাবসায়ীকে কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,আইজিপি এবং রেঞ্জ ডি,আই,জি খুলনা মহোদয়গণ এর উপস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার শপথ গ্রহন করেন।
এছাড়াও তিনি ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ১ লা এপ্রিল ২৫ মে পর্ষন্ত দুস্থদের মধ্যে রান্না করে প্যাকেট জাত খাবার প্রায় ২৫০ জন কে সরবরাহ করেন এবং প্রায় ২৫০ গরীব দুস্থদের খাদ্য সহায়তা দেন করোনা কালিন সময়ে। এ দুঃসময় কৃষক ও শ্রমিকদের দুঃখ দূর্দশার দিক বিবেচনা করে অন্য জেলায় ধান কাটতে যেতে পুলিশের পরিবহন দিয়ে সহায়তা করেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে তিনি এক প্রতিবন্ধী তরুনী কে হুইল চেয়ার প্রদান করেন।
শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন এছাড়াও তিনি নিজ চেয়ারে বসে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ৭ থানার তদারকি করছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসপি বলেন আমি মনে করি আমার প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো ৭ থানায় সেবা নিতে আসা সর্বস্তরের জনগণ যাতে থানার পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক হয়রানি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখা।
রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত এস পি তানভীর আরাফাত এর স্বপ্ন বিশ্ব বন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় যথাযথ ভূমিকা রাখা।