কুয়াকাটায় শিক্ষকের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে মামলা ॥
শিক্ষকের জমি জোরপুর্বক দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমিতে থাকা বিভিন্ন
প্রকার গাছপালা কেটে নেয়ার দাবী করে ওই ভূক্তভোগী শিক্ষক। সোমবার ও
মঙ্গলবার দুই দফায় এ দখল কার্যক্রম চলে। এ ঘটনায় কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা পৌরসভা সংলগ্ন মুসুল্লীয়াবাদ
গ্রামের বাসিন্দা এবং আলীপুর আবু হানিফ খান নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
সহকারী শিক্ষক মো: কাওসার মুসুল্লীর (৪০) ভোগদখলীয় বাড়ির অংশ বিশেষ জমি
প্রতিবেশী মোঃ নুর আলতাফ (৫০), মো: নুরুল হক (৪৫), আ: সালাম (৪০), মো:
নুর ইসলাম (৪৭) গংরা সোমবার সকালে এবং মঙ্গলবার দুই দফায় জোপপুর্বক দখল
করে নেয়। এসময় জমিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কেটে নিয়ে
যায় প্রতিপক্ষরা। জমির আকার আকৃতিও পরিবর্তন করা হয়েছে। ভূয়া জমির
মালিকানা দাবী করে এ দখল প্রক্রিয়া চালানো হয় এমনটাই দাবী করেন ভূক্তভোগী
এই শিক্ষক। আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় বিরোধীয় জমি দখলের প্রতিবাদ করলে
প্রান নাশের হুমকীসহ নানা রকম ভয়ভীতি দেখানো হয় ওই শিক্ষককে। এঘটনায়
থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
ভূক্তভোগী শিক্ষক কাওসার মুসুল্লী জানান, কাগজে জমি না থাকলেও ভূয়া
মালিকানা দাবী করে তার প্রতিবেশী নুর আলতাফ গংরা কয়েকবার জোরপুর্বক জমি
দখলের চেস্টা চালায়। এ নিয়ে পৌর মেয়রসহ স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বৈঠকে বসেন।
প্রতিপক্ষ কারও সালিশ ব্যবস্থা মানতে নারাজ। আদালতে গত তিন বছর ধরে মামলা
চলমান রয়েছে। কাওসার মুসুল্লী অভিযোগ করেন, মামলা চলমান অবস্থায়
প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্্ের সজ্জিত হয়ে গত ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দফায় বাড়ির
অংশ বিশেষ দখল করে নেয়।
জমি দখলের কথা স্বীকার করে নুর আলতাফ গংরা জানান, আমাদের জমি আমরা বুঝে
নিয়েছি। আমরা কারও জমি দখল করি নাই।
এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো: আনোয়ার হাওলাদার বলেন, তিনি নিজে বিরোধীয়
জমিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। কাগজপত্র অনুযায়ী নুর আলতাফ গংরা জমি
পাবে না। ভূল বসত দলিলের চেয়ে বিএস জরিপে বেশি জমি রেকর্ড হয়েছে নূর
আলতাফ গংদের নামে। যে কারনে জমি দাবী করে তারা। তাদের দাবী সঠিক নয়। মেয়র
আরো বলেন, তিনি মিমাংসার চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।