কুয়াকাটা সৈকতে কয়েক লক্ষ পর্যটকের পদচারনায় শতকোটি টাকা বাণিজ্য হওয়ার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  সূর্যোদয় সূর্যাস্তের লীলাভূমী সাগরকন্যা কুয়াকাটায় টানা ৪ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন হয়েছে। শুক্রবার ২৩ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলগুলোর প্রায় ৯৫% রুম বুকিং হয়ে গেছে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, কুয়াকাটায় ছোট-বড় ২০০টির বেশি হোটেল রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ২০-২৫ হাজার। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে অসংখ্য পর্যটকের আগমনের কারণে অনেক পর্যটক পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়ি, গাড়ির ভেতরে রাত্রী যাপন করেন, আবার অনেকে সারাদিন ভ্রমণ শেষে রাতে নিজ গন্তব্যেও ফিরে যান।

হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, এ পর্যন্ত কুয়াকাটায় ১থম শ্রেণির হোটেলগুলো  এরমধ্যেই ৯৫% এবং ২য় ও ৩য় শ্রেণির হোটেলগুলোর ১০০% রুম বুকিং হয়ে গেছে। শুক্র-শনিবার পর্যন্ত অনেকেই ৪দিনের ছুটিতে আছেন। যে কারণে আমরা প্রত্যেক হোটেল ২২-২৩ তারিখের সবচেয়ে বেশি বুকিং পেয়েছি। তার সঙ্গে বাকি দিনগুলোতে একটু কম বুকিং হলেও ওই বন্ধের দিনকে  ঘিরে আমরা বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

কুয়াকাটা হোটেল সী প্লেসের ম্যানেজার রুবেল জানান, ফেব্রুয়ারি মাস উপলক্ষ্যে আমার হোটেলের বেশ কয়েকদিন যাবত রুম বুকিংয়ে ভালো সারা পাচ্ছি, এছাড়াও ২২ ও ২৪ তারিখে ৯৫% বুকিং রয়েছে।  তবে আমরা এখনো অনেক ফোন পাচ্ছি, চাহিদা মতো পর্যটকদের রুম আপাতত কোন বুকিং দিতে পারছি না।

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আমরা পর্যটক পাচ্ছি। বেশিরভাগ পর্যটক ডে-ট্যুরে এসে থাকেন। তবে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আমরা ২/৩ দিন থাকার মতো পর্যটক পেয়েছি। লম্বা এই বন্ধকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় অগ্রিম বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে। তাই এখন থেকে কুয়াকাটায় যারা আসবেন তাদের জন্য পরামর্শ, অবশ্যই রুম আগেভাগে বুকিং দিয়ে  আসতে হবে অন্যথায় এখানে এসে ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্যুর অপারেটরস এ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)-এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, প্রতি বছর যেসব দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি চাপ থাকে এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একটি। তার সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। যে কারণে কয়েক লক্ষ পর্যটকের আগমন হয়েছে। তাই হোটেল-মোটেলের পাশাপাশি আশেপাশের বেশ কয়েক এলাকার বাসা-বাড়ি ও প্রায় ১৬টি পেশার সকল ব্যবসায়ীরা কুয়াকাটাতে পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওনের কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাসহ ৪দিনের ছুটিতে এবার লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটেছে কুয়াকাটায়। যে কারণে আগে থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি ও গোয়েন্দা টিম মনিটরিং করছে।




error: Content is protected !!