মোঃ রায়হান আলী,খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ-
সুপার সাইক্লোন খ্যাত ঘূর্ণিঝড় “আম্পান”এর আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙে খুলনার কয়রা উপজেলায় পানিতে চারিদিকে একাকার হয়ে গেছে। কোথাও শুকনো জায়গা বা সবুজ নেই। এর মধ্যেই এলাকাবাসীর ঈদের দিনটি কেটেছে ভিন্ন রকম।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার ৮০ শতাংশ এলাকা। আম্পানের তাণ্ডবে কয়রায় ১২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২১ জায়গায় ৪০ কিলোমিটার অধিক বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে গতকাল সোমবার (২৫ মে) ঈদুল ফিতরের দিন সেই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণে স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়েই আদায় করেছেন পবিত্র ঈদের নামাজ। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার দুই নম্বর কয়রা নদী ভাঙন পাড়ে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়েই ঈদের জামাত আদায়।ঈদের নামাজে ইমামতি করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আ খ ম তমিজ উদ্দিন।
দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়েই নামাজ শেষে সেমাই খেয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ তৈরি করতে নামেন এলাকাবাসী। দুপুরে তাদের জন্য আয়োজন করা হয় খিচুড়ির। এভাবেই ঈদের দিন বাঁধ মেরামতে সময় পালন করছেন আইলা ও আম্পানে ক্ষতবিক্ষত হওয়া কয়রার মানুষ।
নামাজ শুরুর আগে কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যানৃ এস এম শফিকুল ইসলাম জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান বক্তব্যে তিনি ঘুর্নিঝড় আম্পানে লণ্ডভণ্ড কয়রা বাসীর দুর্বিষহ অবস্থা তুলে ধরেন এবং মজবুত বাঁধ নির্মাণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়া স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ বাঁধার কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়েই ঈদের জামাত আদায় করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবী তাঁদের এ দূর্দিনে সরকার যেন ত্রানের পাশাপাশি তাদের পোক্ত বাঁধ নির্মাণ করে দেন।