খুলনায় “কৃষকের অ্যাপ” এর মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহ

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২১

মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা।।
আজ (বুধবার) সকাল ১০.৩০ মি.-এ ‘কৃষকের অ্যাপ’ ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কমপ্লেক্স চত্ত্বরে আয়োজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জুম অ্যাপে সংযুক্ত ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। আরো যুক্তছিলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য জনাব নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা জনাব মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খুলনা জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), খুলনা জনাব মোঃ ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), খুলনা জনাব মোঃ সাদিকুর রহমান খান, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খুলনা জনাব মোহাম্মাদ বাবুল হোসেন। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করবেন ‘জেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ কমিটি’-এর সভাপতি সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।উল্লেখ্য, এ বছর সারা দেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে এ বাম্পার ফলনের যথাযথ সংরক্ষণ যেমন প্রয়োজন তেমনি ভবিষ্যতে কৃষকের ধান উৎপাদনে আগ্রহ ধরে রাখার ক্ষেত্রে সঠিক মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কৃষকের উৎপাদিত ধান সংগ্রহ ও মজুদ নির্বিঘ্ন উপায়ে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সম্পাদন করতে সরকার এক অনন্য ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আইসিটি বিভাগ ও খাদ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালনায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামক মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকেরা ঘরে বসেই রেজিস্ট্রেশনপূর্বক লগইন করে সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রয় করতে পারবেন। এতে একদিকে যেমন সেবা সহজীকরণ সম্ভব হবে তেমনি অপরদিকে কৃষকদের ভোগান্তি দূর হবে এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রয়ের অর্থ সহজেই কৃষকের বিকাশ একাউন্টে/ব্যাংক হিসাবে প্রবেশ করবে। করোনাকালীন লকডাউনে প্রচলিত ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে লকডাউন কার্যকর করতে এর ভূমিকা সমধিক। ফলে সরকারের এই উদ্যোগ পরোক্ষভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনেও সহযোগিতা করবে।এ বছর খুলনা জেলায় বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৯ শত ৫৭ মেট্রিক টন এবং সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ৫ শত ২২ মেট্রিক টন। ২৮ এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করে ১৬ আগস্ট, ২০২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্ধারিত পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। ‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্ধারিত পরিমাণ ধান ও চাল স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ঝামেলাবিহীনভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় ডিজিটাল অ্যাপ ব্যবহার করে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পর্যায়ক্রমে খুলনার অন্যান্য উপজেলাতেও এই কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হবে।
উল্লেখ্য, গতবছর বোরো মৌসুমে করোনাকালে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থার ভীড় এড়িয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দ্রুততার সাথে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যে খুলনা জেলা প্রশাসনের একান্ত উদ্যোগে ‘কৃষকের হাসি’ তৈরি করা হয়। এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম অত্যন্ত সফল হয় এবং তা খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সারা বাংলাদেশের কৃষকদের নিকট থেকে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। এ বছরও খুলনা জেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ এর সাথে সাথে ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপস’ এর মাধ্যমেও চাল সংগ্রহ করা হবে।‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে ধান বিক্রয় করতে আগ্রহী কৃষকদের সুবিধার্থে জানানো যাচ্ছে যে, কৃষক তার এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে সহজেই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোডকৃত অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লগইন করে ধান বিক্রয় করতে পারবেন।




error: Content is protected !!