খুলনায় লকডাউন এটা আসলে কতটুকু যুক্তিযুক্তঃ লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ

প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২০

মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা প্রতিনিধিঃ

সীমিত পরিসরে লকডাউন তুলে দেয়ায় কিছুদিন আগেই খুলনা উঠে আসে রেডজোনের তলিকায়। তারই প্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ এর বিস্তার টেকাতে খুলনা লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু এই লকডাউন কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।

মার্কেট/দোকানপাট বন্ধ রেখে সবকিছু খুলে রাখার মানে কি লকডাউন। এটা এক ধরনের বোকামি বলা যায়। রাস্তায় লোকসমাগম , সিএনজি , অটো , বাস সবই তো পরিপূর্ন। মানছে না স্বাস্থ্য বিধি এবং সামাজিক দূরুত্বের নামে পরিবহন গুলো হাতিয়ে নিচ্ছে দিগুন টাকা।

এ দিকে সচেতন মহল বলছে তাহলে ব্যবসায়ী ভাইরা কি দোষ করছে। ব্যবসায়ী ভাইদের ১দিনের দায়িত্ব তো জেলা প্রশাসক নেয়নি। ৪৭ দিন মার্কেটের দোকান বন্ধ রাখার পর মাত্র ১১ দিনের মত খোলা তারপর আবার ১৪ দিনের প্রস্তাবনা। বর্তমানে মার্কেট/দোকানপাট বন্ধ বা লকডাউন করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া সবকিছুই খোলা রাখা হয়েছে। এদের পরিবার কিভাবে চলে দোকান ভাড়া কোথা থেকে আসে ইত্যাদি খরচ কেউ কি ভেবে দেখেছে।

নাকি অন্য সেক্টরের মত কোন লোন পাইছে। লকডাউন যদি দিতেই হয় ব্যবসায়ীদের সবার ঘরে খাবার পৌছে দেন তারপর কারফিউ দেন। অনেকের মতে খুলনায় মার্কেট খোলা রাখার পরে করোনার বিস্তার হয়েছে। সেট যদি হতো মার্কেটের দোকানদারদের আগে করোনা হতো। জানা মতে খুলনাতে এখন পর্যন্ত কোন দোকানদার করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

তাইলে এই মধ্যবিত্ত /গরিবদের নিয়ে লকডাউন কতটুকু যুক্তিযুক্ত এমনটা দাবি করছেন সচেতন মহল। ব্যবসীয়ারা তো পারছেনা রিকশা নিয়ে রাস্তায় নামতে না পারছে মার্কেট/দোকানপাট খুলতে।

লকডাউন দেশের কোন সমস্যার সমাধান না, যদি না নিজেরা স্বাস্থ্য সচেতন থাকি। এক সপ্তাহ লেগে যায় নমুনার রেজাল্ট পেতে। ততোদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। গতকালও খুলনাতে ৪৯ জন করোনা শনাক্ত হয়ে বিগত দিনের তুলনায় সর্বোচ্চ ছাড়িয়েছে।

আমরা আশা করি সর্বাধিক বিবেচনা করে খুলনার অভিভাবক ”জেলা_প্রশাসক” সঠিক এবং প্রগতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।




error: Content is protected !!