মাহাম্মুদ হাসান জীবন,জীবননগর প্রতিনিধি(চুয়াডাঙ্গা)
জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামে বোন দুলাভাইয়ের মারামারি ঠেকাতে গিয়ে দুলাভাইয়ের কাছে শালা আহত। আজ বিকাল চারটার সময় মিনাজপুর গ্ৰামে এই ঘটনা ঘটে উক্ত ঘটনায় আহত ব্যক্তি মোঃ কুদ্দুস শেখের (বয়স ১৬) কাছে ঘটনাটি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বোন মোছাঃ অন্তরা খাতুন এবং বজলুর রহমানের ছেলে আমার দুলাভাই মোঃ সোহেল রানা গত এক বছর আগে তারা প্রেম করে বিবাহ করেছেন অতঃপর কিছুদিন যাবত তাদের সংসার ভালোই চলছিল কিন্তু বেশ কিছু মাস আগে (৫-৬ মাস) আমার বোন অন্তরার মোবাইলে একটি রং নাম্বার থেকে ফোন আসলে আমার দুলাভাই (সোহেল রানা) বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ করে এবং সাংসারিক ঝামেলা করা শুরু করে এবং বেশ কিছুদিন যাবৎ তার বোন অন্তরাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করলে একই গ্ৰামে অন্তরার বাবার বাড়িতে চলে যায় এবং সোহেল রানা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবিতে) চাকরি করায় তিনি তার সীমান্ত অত্যন্ত প্রহরী তে ডিউটি করতে চলে যান এবং অন্তরার সাথে গত ১ দেড় মাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সোহেল। অতঃপর গত ৪/৭/২০ তারিখে সোহেল রানা কিছু দিনের জন্য ছুটি নিয়ে বাসায় চলে আসেন এবং বাসায় আসার পর পরেই তার স্ত্রী অন্তরার বাবার বাসায় যায় এবং অন্তরাকে আবার তার শশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে, অন্তরা সোহেলের সাথে তার শশুর বাড়িতে না যাওয়ার কথা বলেন অতঃপর সোহেলের সাথে অন্তরার কথা কাটাকাটি হলে সোহেল অন্তরাকে আবার শারীরিকভাবে অত্যাচার মারধর করতে শুরু করে । তার আগেও নাকি সোহেল তার এলাকার মিনাজপুর গ্ৰামের মেম্বার চেয়ারম্যান কে জানিয়ে এবং বিচার বৈঠক করে অন্তরা কে পুনরায় তার (সোহেলের) বাড়িতে নিয়ে এসেছিল অতঃপর আবার সাংসারিক অশান্তি করায় অন্তরা তার বাবার বাসায় চলে যায়। অতঃপর গতকাল রাতে সোহেল তার শশুর বাড়িতে যায় এবং অন্তরাকে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে । অন্তরা সোহেলের সাথে না যেতে চাইলে আজ বিকাল ৪টার সময় অন্তরাকে আবার মারধর করেন এবং অন্তরার বড় ভাই মিজানুর বয়স (২২) ছোট ভাই কুদ্দুস (বয়স১৬)উক্ত মারধর ঠেকাতে গেলে অন্তরা স্বামী সোহেল রানা তার( অন্তরার) ছোট ভাইকে তার (সোহেলের) হাতে থাকা মুঠোফোন দিয়ে অন্তরার ছোট ভাইয়ের মাথায় আঘাত করলে অন্তরার ছোট ভাই কুদ্দুসের মাথা ফেটে যায় এবং অন্তরার বড় ভাইকে কিল ঘুষি লাথি উষ্ঠা মারে এবং অন্তরার মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
অতঃপর উক্ত ঘটনাটির বিষয়ে অন্তরার বড় ভাইয়ের কাছেও জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান আমার দুলাভাই সোহেল রানা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) সদস্য হওয়ার আমরা কিছুই করতে পারিনি এবং এ বিষয়ে অন্তরা জানান আমাকে সন্দেহভাজক প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করেন। আমার স্বামী।
উক্ত বিষয়টি জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম কে জানানো হলে তিনি তার পুলিশ ফোর্স জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় এবং ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন, এবং এই বিষয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করার কথা বললে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে আমরা অতিদূত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যবস্থা করব। বলে জানা গেছে।