আলামিন খান, টাঙ্গাইল।
টাঙ্গাইলে বাসের চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আরোহী শিক্ষক দম্পতিসহ একই পরিবারের চারজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়কের রাবনা মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের ভদ্রশিমুল দক্ষিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলআমিন (৫৪), তার স্ত্রী একই স্কুলের সহকারি শিক্ষক শিউলি খাতুন (৪২), নিহত আল আমিনের বাবা মো. সোহরাব আলী (৭৫), ও মা সালেহা বেগম (৭০)। এ দুর্ঘটনায় আল আমিনের বোন হাজেরা বেগম ও অটোরিক্সার চালক ফেরদৌস তরফদারকে গুরতর আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, ভূঞাপুর উপজেলা সদর থেকে আল আমিন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দুপুর ১২ টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা মোড় থেকে শহরের দিকে ঢোকার পথে সৈকত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। আশেপাশের লোকজন সিএনজি’র চালকসহ ছয় আরোহীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে শিউলি খাতুনের মৃত্যু হয়। পরে গুরতর আহত আল আমিন, সোহরাব আলী ও সালেহা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতির সময় তারাও মারা যান।
নিহত আল আমিনের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তার অসুস্থ্য মা সালেহা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর জন্য তার পরিবারের লোকজন টাঙ্গাইল শহরে যাচ্ছিলেন। দুপুরে তার ভাইয়ের মুঠো ফোন থেকে একজন পুলিশ সদস্য প্রথমে এ দুর্ঘটনার খবর দেন। তারা জানান, দুর্ঘটনার সবাই আহত হয়েছে। তাই তাদের চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে তিনি সবার লাশ দেখতে পান।
নিহত আল আমিন ভূঞাপুর উপজেলা সদরের পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। তাদের দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে আশা খাতুন দশম শ্রেণীতে এবং ছোট আখি খাতুন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে। মৃত্যুর খবর তারা মুর্ছা যান। স্বজনরা তাদের শান্তনা দিচ্ছিলেন।
হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, বাসটিকে তারা আটক করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।