আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
মোংলা উপজেলার পৌর শহরের একটি মুদি দোকানের গোডাউনে মিলেছে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)’র ন্যায্যমূল্যের ভোজ্যতেল ও চিনি।
পরে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে সেই পণ্য উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। এসব পণ্যের মধ্যে ছিল ৪০ বস্তা মশুরী ডাল ও ১১০ কার্টুন সয়াবিন তেল।
জানা গেছে, পৌর শহরের আঃ সামাদ সড়কের জালাল ষ্টোরে গোপনে এই পণ্য বিক্রি করে টিসিবির স্থানীয় ডিলার মোঃ খোকন। তবে সেই পণ্য পাইকরারী দরে বিক্রির আগেই জানাজানি হলে পরে তা উদ্ধার করা হয়। দোকানটির মালিক মোঃ মনিরের ভাষ্য, এই পণ্য তারা ক্রয় করেনি ডিলার খোকন তাদের গোডাউনে স্বল্প সময়ের জন্য রেখেছেন।
এবিষয়ে ডিলার খোকনের দাবি, পৌরসভার গোডাউনে জায়গা সংকটের কারণে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় জালাল ষ্টোরের গোডাউনে রাখা হয়েছে। ৪০ বস্তা মশুরী ডাল এবং ১১০ কার্টুন সয়াবিন তেল রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে তিনি এগুলো বিক্রি করেননি বলে দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ডিলার খোকন এভাবে সরকারি অনেক পণ্যই গোপনে বিক্রি করে থাকেন। তার প্রমান আজকের ঘটনা। তারা আরও বলেন, টিসিবি’র পণ্য স্বল্প মূল্যে বিতরণ করার কথা। কিন্তু বাজারের দোকানের গোডাউনে এসব পণ্য পাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। এসব বস্তাবন্দী সরকার ঘোষিত স্বল্প মূল্যের টিসিবি’র বস্তাবন্দী চিনি,ডাল ও তেল এই দোকানের গোডাউনে আসলো কিভাবে ? নিয়মানুযায়ী সরকার ঘোষিত এসব পণ্য নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত স্থানে পাওয়ার কথা ছিল।
জানতে চাইলে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, দোকানের গোডাউনে সরকারি কোন পণ্য রাখার কোন নিয়ম নাই। পৌরসভার নির্ধারিত গোডাউনে রাখবে। শুক্রবার উদ্ধারকৃত আজকের পণ্য অন্য একটি দোকানের গোডাউনে রাখার বিষয়টি আমাকে অবহিত না করায় তিনি অপরাধ করেছেন। এবিষয়ে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য সরকার টিসিবির ন্যায্যমূল্যে পণ্য ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রয় করছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ লাভের উদ্দেশ্যে তা মজুদ করে রাখছেন।