সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়া চাওয়াতে পাওনাদার সহ তার পরিবারের ৫ জনকে দা দিয়ে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় তাহিরপুর উপজেলা উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বোরখাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের আরও ২ জন আহত হয়েছে। পাওনাদারের পক্ষে গুরুতর আহত বোরখাড়া গ্রামের ফজলুল হক (৪৫), রাসেল মিয়াকে (১৮), শহিদুল্লাহ (৪০), মেরাজুল ইসলাম (৩০), সুমন (১৭)। এই ৫ জনকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ফজলুল হককে (৪৫) ঢাকা পিজি হাসপাতালে, রাসেল মিয়াকে (১৮) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ও শহিদুল্লাহ (৪০), মেরাজুল ইসলাম (৩০), সুমন (১৭) কে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এবং তাদের প্রতিপক্ষের আহত ২ জন কাসেম ও ফখর উদ্দিনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পাওনাদারের পক্ষে মজিবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫/৬ জনকে গং রেখে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট বাজারে পাওনাদার রাসেন মিয়া সাপ্তাহিক খেলার পাওনা ৫’শ টাকা প্রতিপক্ষ বারহাল গ্রামের ফখর উদ্দিন ও হোসেন মিয়ার কাছে চাইলে এ সময় ফখর উদ্দিন ও হোসেন মিয়া টাকা দিতে পারবেনা বলে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে কথাকাটাকটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে টাকা না পেয়ে রাসেল মিয়া বাড়িতে (বোরখাড়া) চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ফখর উদ্দিন মোটরসাইকেল নিয়ে বোরখাড়া গেলে তাদের দুজনের মধ্যে আবারও কথা-কাটাকাটি হয়। পরে এরই জের ধরে সন্ধ্যায় ফখর উদ্দিন তার বাড়িতে এসে দেশীয় অস্ত্র লোকজন নিয়ে বোরখাড়া গ্রামে গিয়ে রাসেল মিয়ার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে রাসেলের পরিবারের ৫ জনকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত করে। এ সময় রাসেলের পরিবারের লোকজন প্রতিহত করতে চাইলে ফখর উদ্দিন পক্ষের আবুল কাসেম (৫৫) ও ফখর উদ্দিন (৩০) আহত হয়। এ সময় স্থানীয় গ্রামবাসী এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, মাত্র ৫’শ টাকা জন্য এমন একটা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে যা দুঃখজনক । গতকা বৃহস্পতিবার মজিবুর রহমান নামে একজন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার পুলিশ চেষ্টা করছে।