তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষনের চেস্টা গণধোলাই খেলো ইউপি সদস্য সাইফুল।

প্রকাশিত: ১:৫১ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

আলামিন খান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে তিন সন্তানের জননীকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় এক ইউপি সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল রাতে উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের তিরঞ্জ গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম (৪৮) তিরঞ্জ গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা এবং ফুলকি ইউপি’র ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য। চা দোকানীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী (৩৪) ওই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।
চা দোকানীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী জানান, একটি মামলায় আমার পরিবারের সদস্যরা আসামী হবার সুবাদে সাইফুল মেম্বার গত ৩/৪ দিন যাবত আমাকে মোবাইলে কল দিত। রাতে কল দিয়ে পুলিশ আসবে বলে আমার পরিবারের পুরুষ সদস্যদেরকে বাড়িতে অবস্থান করতে নিষেধ করতো। এর মাঝে আমাকে বিভিন্ন আপত্তিকর প্রস্তাব দেয়াসহ তার সাথে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হবার প্রস্তাব দিত। সম্পর্কে আমি তার চাচী হওয়া স্বত্তেও সে আমাকে উত্ত্যক্ত করতো। এ কারণে আমি তাকে এসব বাজে কথা বলতে নিষেধ করি। এতে সাইফুল আরো বেপোরোয়া আচরণ করতে শুরু করে। বিষয়টি আমি আমার স্বামীসহ পরিবার এবং স্থানীয় মহিলা ইউপি সদসকে অবহিত করি। এরপরও বেপরোয়া সাইফুল মেম্বার রাতে আমাকে ত্রিশবারের বেশি কল দেয়। কোন প্রকার সাড়া না দেয়ায় গভীর রাতে সে আমার ঘরে প্রবেশ করে। এসময় আমার স্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে হাতেনাতে আটক করে এলাকাবাসীদের খবর দেয়। এলাকাবাসী এসে সাইফুলকে গনধোলাই দেয়। এসময় স্থানীয় মাতাব্বররা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মলি আক্তার জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী বিষয়টি আমাকে জানানোর সাথে সাথে আমি ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে এসব অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করেছি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে উথ্যাপিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি চা-দোকাদারের স্ত্রী’র পরিবারসহ এলাকার লোকজনের মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন। কেন, কোন ঘটনায় তাকে মারধর করা হয়েছে এমন প্রশ্ন শুনে তিনি ফোনটি কেটে দেন। তবে ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবুল এর মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা যায়নি। এ প্রসঙ্গে বাসাইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ইউপি সদস্য গ্রামের চা বিক্রেতা ও তিন সন্তানের জননী ঘরে ঘরে প্রবেশ করায় পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি পুলিশ ওই ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে। তবে এ বিষয়ে এখনও থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।




error: Content is protected !!