নতুন প্রজাতির বেগুনি ধানের জমি দেখতে মানুষের ভীড়

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০

গোলাম সারোয়ার পলাশ ।। চারদিকে সবুজ ধানে সোনালী শীষ। মনোরম সবুজের ভেতরে নজর কাড়ে বেগুনি ধানের জমিও।

আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাত্রাপথে চোখ আটকে যায় সবুজের ভেতরে থাকা বেগুনি ধানের ক্ষেতে। প্রথমবারের মতো বেগুনি ধানের চাষ হয়েছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। এ অঞ্চলে নতুন প্রজাতির এ ধানের জমি দেখতে প্রতিদিন ভীড় করেন অনেক মানুষ।

উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া ব্লকের আদর্শ কৃষক চাঁন মিয়া এবার দশ শতক জমিতে চাষ করেছেন বেগুনি ধানের। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তায়কৃষক চাঁন মিয়া এ উপজেলায় প্রথম বারের মতো বেগুনি ধানের চাষ করে জনপ্রিয় হয়ে গেছেন। সবাই চাঁন মিয়ার জমিতে বেগুনি ধান দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন অনেকে।

ময়মনসিংহ-কিশোগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কৃষক চাঁন মিয়ার বাড়ি। বাড়ির পাশেই দশ শতক জমিতে চাষ করেছেন বেগুনি ধানে। ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা চাঁন মিয়াকে বেগুনি ধান সম্পর্কে বুঝানোর চেষ্টা করেন। বেগুনি ধান সম্পর্কে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বুঝানোর পর চাঁন মিয়া রাজি হন দশ শতক জমিতে বেগুনি ধান চাষ করতে। পরীক্ষামূলক জমি চাষ করতে হালুয়াঘাট থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা এক কেজি বীজ ধান সংগ্রহ করেন দেন কৃষককে। সেই বীজ ধান দিয়ে ধানের চারা উৎপাদন করে দিগন্ত জোড়া সবুজ মাঠে এখন শোভিত হচ্ছে বেগুনি ধান। কৃষি বিভাগের তত্মাবধানে কৃষক চাঁন মিয়ার জমিতে ধানের আবাদও ভালো হয়েছে। সবুজের ভেতরে বেগুনি ধান গাছ দেখে যে কারো নজর আটকে যায়।

কৃষক চাঁন মিয়া বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি বেগুনি ধানের আবাদ করতে সম্মত হন। ধানের উৎপাদনও ভালো হয়েছে। ধানের বীজ নেওয়ার জন্য অনেকে যোগাযোগ শুরু করেছে ইতোমধ্যে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, দিগন্তজোড়া সবুজের মাঝে বেগুনি ধান দেখতে ভালই লাগে। একে বলে ডাইভারসিফাইড কৃষি। যা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মূলমন্ত্র।

তিনি আরো বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ও সংগৃহীত বীজে চাঁন মিয়া তার জমিতে বেগুনি ধানের চাষ করেছেন। যা এ উপজেলায় প্রথম। এতে বেগুনি ধানের চাষ করতে অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। আগামী মৌসুমে কৃষকদের বেগুনি ধানের বীজ সরবরাহ করাটাই তাদের জন্য চালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। উৎস: সমকাল ।




error: Content is protected !!