নাজমুল হুদা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধানের চারা রোপণে ধুম পড়েছে। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা ধান উৎপাদনের জন্য পারদর্শি। এ উপজেলার আবাদি জমিতে উর্বরতা অনেকটা বেশি রয়েছে। তাই বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি রবিশস্যরও চাষাবাদ করা হয়। এ উপজেলাকে শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। আউশ ধান কাটামাড়ায়ের কাজ চলছে। তাই কৃষকরা এখন আমন ধানের চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছে। এবার বর্ষা মৌসুমে ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে। সে কারণে আবাদি জমিতে বাড়তি পানি সেচ দিতে হচ্ছে না। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কৃষকরা দ্রুত গতিতে আমন ধানের চারা রোপণ করছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ১শ’ ১৮ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২ হাজার ৯ শ’ ৬২ মেট্রিক টণ। ইরি-বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তেমনি কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পেয়েছে। এতে কৃষকরা অনেকটা খুশি রয়েছে। এজন্য কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন নিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে। উপজেলার খেংশহর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন জানিয়েছে, আমি ১৫ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করছি। এরমধ্যে অর্ধেক জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ হয়েছে। হাটলাল গ্রামের কৃষক মিনহাজুর রহমান হাবিব বলেছে, আমার জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ চলছে। আমাদের মাঠে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ চলছে ধুমধামে। বাঁশো গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী বলেছে, আমি ১২ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করছি। ইতোমধ্যই আমন ধানের চারা রোপন কাজ শুরু করে দিয়েছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেছে, এ উপজেলার কৃষকরা ধান উৎপাদনে অনেকটা পারদর্শি। তাই যথারীতিভাবে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে। ইতোমধ্যই অধিকাংশ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ শুরু হয়েছে। শ্রাবণ মাসের মধ্যেই বাদবাকি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে। এবারো আমন ধানের বাম্পার ফলনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। আপন ধানের চাষাবাদে কৃষকদেরও অনেকটা আগ্রহ রয়েছে। তাই আশা করছি এবারো আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। আমন ধানে বাম্পার ফলন হলে কৃষকরা বেশি উপকৃত হবে।