নবীগঞ্জের কৈখাইড় গ্রামে গভীররাতে প্রবাসীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা,মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং এর ফলে গ্রামবাসীর ধাওয়ার মুখে দূর্বূত্তদের পলায়ন৷
স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জের
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কৈখাইড় (ইলিমপুর)গ্রামে গত শুক্রবার দিবাগত গভীররাতে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে প্রবাসীকে হত্যার উদ্দেশ্যে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ প্রবাসী পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী জানান,
শীতের রাতে কুয়াশা আচ্ছন্ন আকাশ,
রাত যখন গভীর, ঘুমের ঘরে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ,রাত প্রায় অনুমান দেড়টার দিকে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র সৌদি আরব প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে একই গ্রামের মৃত মখলিস মিয়ার পুত্র রইছ মিয়া,আকলু মিয়া,ওলি মিয়া,মৃত গৌছ মিয়ার পুত্র শাজাহান ও কাদির মিয়া সহ অস্ত্রধারীরা একজোট হয়ে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহকারে তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এমনকি ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করে, বাড়ির চারিদিকে ঘেরাও করে
দা,রামদা ও শাবল দিয়ে কুপিয়ে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে হঠাৎ প্রবাসী তোফাজ্জল মিয়ার পরিবারের লোকজনের ঘুম ভেঙে যায়৷ এসময় প্রবাসী পরিবারের আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন বিষয়টি আচ করতে পেরে অবশেষে গ্রামের মসজিদ গুলোতে ডাকাত ডাকাত বলে মাইকিং করলে অস্ত্রধারী দূর্বৃত্তরা গ্রামবাসীর ধাওয়ার মুখে পালিয়ে যায়৷ তাৎক্ষণিক প্রবাসী তোফাজ্জল ৯৯৯ নাম্বারে জরুরি কল দিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে৷
এঘটনায ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী শনিবার দুপুরে প্রবাসী তোফাজ্জলের বাড়িতে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা করেন৷ ওই সভায় সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত হয়ে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানান এবং দুষ্কৃতকারীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানান তারা,একপর্যায়ে উক্ত সভায় উপস্থিত হয়ে
উত্তেজিত গ্রামবাসীকে শান্তনা দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ৷ এব্যাপারে প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন বলেন তিনি দেশে আসার পরথেকে একই গ্রামের একাধিক মামলার আসামী ও চিহ্নিত ব্যক্তি ও নানা অপরাধ চক্রের গডফাদার রইছ মিয়া ও তার বাহিনীর লোকজন পূর্ব শত্রুতার জেরধরে তাকে ও তার ভাই প্রবাসী আমিনুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালিয়ে ছিল৷ গ্রামবাসীদের সহায়তায় তারা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন,নয়তো সন্ত্রাসীরা তাদের জানমালের বড় ধরনের ক্ষতি করতো৷
এঘটনার পরথেকে তারা বাড়ির বাইরে যেতে ও রাস্তাঘাটে চলাফেরা করিতে ভয় পাচ্ছেন দূর্বূত্তদের নানা হুমকি ধামকি ও এই হামলার ঘটনার পরথেকে৷
এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এখনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ ফেলে তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷