নবীগঞ্জে ভাবীকে মারধর করায় দেবরের হাতে রিক্সা চালক মর্তুজ আলী গ্রেফতার
বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
নবীগঞ্জ পৌরসভার মায়ানগর গ্রামের বর সদর মিয়া তার ভাবী রাহেলা বেগমকে মারধর করার ঘটনায় দিন মজুর রিক্সা চলাক মর্তুজ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক কলহের জেরধরে পৌর এলাকার মায়ানগর গ্রামের জামাল উদ্দিনের পুত্র সদর মিয়া ও বড় ভাই প্রবাসী মোজাহিদ মিয়ার স্ত্রী (ভাবী) রাহেলা বেগম (৩৮) কে গত (৭ই মে) বিকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ ঘটনার পর থেকে সদর মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে দিন যাপন করছে। এ ঘটনায় রাহেলা বেগম বাদী হয়ে গত (১১মে) নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়য়ের করেন। মামলা নং ১৫। পূর্ব শত্রুরতার জের ধরে রাহেলা বেগম প্রতিবেশী অসহায় দিনমজুর রিক্সা চালক মৃত মাতাব আলীর পুত্র মর্তুজ আলী (৪৫) সহ অনেক নিরাপরাধ লোকদের আসামী করা হয়েছে। পুলিশ উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে নিরাপরাধ রিক্সা চালক মর্তুজ আলীকে গত বুধবার রাতে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজনের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন সাথে কথা হলে তারা বলেন, অতি সম্প্রতি মর্তুজ আলীর বোনদের সাথে রাহেলা বেগমের মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষে ৬ জন আহত হয়। আমরা বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আপোষের মিমাংশা করার চেষ্টা করছি। এর সূত্র ধরেই রাহেলা বেগম ও দেবর এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজে লাগিয়ে নিরীহ মর্তুজ আলীকে আসামী করে। এ ব্যাপারে রাহেলা বেগম মর্তুজ আলীর সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন। তবে, অন্যান্য প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে ধৃত মর্তুজ আলীর বোন মমতা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিগত ১৪ এপ্রিল রাহেলা বেগম ও মেয়ের জামাতাসহ একদল ভাড়টিয়া লোক দিয়ে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। এর প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেসহ ৪ জনকে তারা বেধরক মারপিট কটে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনাটি স্থানীয় পত্রিকায়ও সংবাদ প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ সাংবাদিকদের কাছে কেন এসব বললো, আর পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার কারণে আমার দেবর এ ঘটনায় আমাদের হয়রানী করার জন্য মর্তুজ আলীকে আসামী করে জেল হাজতে পাটিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এলাকাবাসী সহ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবী ঘটনার সত্যতা যাচাই বাচাই পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানান।