এ জি মুন্না, নীলফামারীঃ
এ জগতে মানুষের ইচ্ছে শক্তি হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। ইচ্ছের কাছে প্রতিনিয়ত পদানত হয় এ পৃথিবীরে অনেক কিছুই। এ ইচ্ছে শক্তিকে সঠিক ভাবে চালিত করলে সাফল্য একদিন হাতের মুঠোয় আসবে। আজ না হয় কাল, কাল না হয় পরশু। বাংলা বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স এবং এল, এল, বি সম্পুন্ন করা এমনই একটা সাধারন নারী ইচ্ছে শক্তির ওপর দিব্যি হেঁটে-চলে অনায়েসে সাফল্য এনেছেন ব্যাবসায় তাঁর স্বপ্নের বাগানে। মোছা: মোহসেনা চৌধুরী মনি একজন সফল নারী উদ্দেক্তো। স্বামী দুই সন্তান নুরএ তাবাসসুম চৌধুরী হৃদি ও মোহাসীন আরাফাত চৌধুরী মৃদু নিয়ে সুখের সংসার তাঁর।
নীলফামারী ডোমার উপজেলা সোনারায় ইউনিয়নের ইনপোট ব্যবসায়ী নুর আলম চৌধুরী হৃদয় সংগে ঘর বেঁধেছেন ২০০৭সালে। স্বামীর ব্যবসায় ২০১০সালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। অনেক টাকা লোকসান হয়ে যায়। স্বামীর ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর সংসারে অভাবঅনটা যেন নিত্য দিনের সঙ্গী। অভাব যেন পিছু ছাড়ছে না। তাই তিনি কাজের প্রতি অনুপ্রানীতে হলেন। তাকেও কিছু একটা করতে হবে। কিছু করে স্বামীর সংসারে, স্বামীর পাশে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু কি করবেন তিনি? কিছু করার মতো নেই কোন প্রস্তুতি, নেই কোন প্রশিক্ষন। যেটুকু আছে তা হচ্ছে সেলাই-ফোড়াই, যা বিয়ের আগে মায়ের কাছে শিখে এসেছে। ওটুকুই সম্বল। শেষমেষ কোন কিছু চিন্তা না করে ঐ ওটুকু সম্বলকে আঁকড়ে ধরে ইচ্ছের ওপর চলতে শুরু করলেন তিনি। বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের কাপড় কিনে ওতে সূইঁ ও বিভিন্ন ধরণ রং-এর সূতো দিয়ে নিজ হাতে তৈরী করতে লাগলেন শাড়ি, থ্রী পিচ, ম্যাক্রি, বেডশীড, টেবিলশীট, সোফার কুশন, ফর্দা ও শালসহ নানান টা শিল্প কর্ম করলেন ক্রুস ও কাশ্মিরী আদলে। সূক্ষতা ও রুচিবোধের কারনে তা অল্প দিনেই আশে-পাশে প্রচার পেয়ে গেলো। মানুষও দুই একটা করে কিনতে শুরু করলেন। ক্রমশ; বিকিকিনির পরিধি বেড়ে গেলো। অগত্যা নিজে কুলাতে না পেরে কাজ জানা কিছু মহিলা সংগ্রহ করে ঐ কাজে বসিয়ে দিলে । আর এভাইে কেটে গেলো তার দীর্ঘ দশটি বছর। এখন মোছা: মোহসেনা চৌধুরী মনি অধিনে প্রায় ৫০/৬০ জন নকশী কর্মী নিয়মিত কাজ করেন। ওতে কর্মীদের মুজুরী দিয়ে-থুয়ে প্রতি মাসে ২০/৩০ হাজার টাকার মতো টিকে এ উদ্দোগী নারীর। বললেন তেমন কথাই। ব্যবসাটা আরও বাড়াবেন তিনি, তবে এখন নয়। তার আগে একটি শো রুমসহ কারখানা তৈরী করবেন। তখন ব্যাপক ভাবে অর্ডারও গ্রহন করবেন। নারী সংখ্যাও বাড়িয়ে দেবেন। অথাৎ পুরোপুরি একজন ব্যবসায়ী বনে যাবেন মোছা: মোহসেনা চৌধুরী মনি । আর সে আশাতেই এখনও ইচ্ছে’র ওপর স্বপ্ন আঁকছেন তিনি। নিয়মিত, প্রতিদিন।