নিজ গ্রামের বাড়িতে সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের জানাজা অনুষ্ঠিত।
উমার রাযী, অপরাধ অনলাইন ডেস্ক।
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের প্রথম জানাজা নেত্রকোণায় কেন্দুয়া উপজেলার পাইকূড়া ইউনিয়নের পেমই গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সাহাবুদ্দিনের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার হেলিপ্যাডে অবতরণ করে বলে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মইন উদ্দিন খন্দকার জানান।
তিনি বলেন, সেখান থেকে লাশবাহী গাড়িতে করে সড়কপথে নেওয়া হয় জন্মস্থান পেমই গ্রামের বাড়িতে। তখন স্বজনসহ এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে একনজর দেখতে সবাই ভিড় জমান।
সেখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপতিনিধি, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মরদেহে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জিয়াউল হাসান সুমন নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি চৌকশ দল সাবেক রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে বিকাল সোয়া ৪টায় বাড়ির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজার নামাজ। জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
জানাজায় সাবেক রাষ্ট্রপতির আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
ইউএনও আরও বলেন, পরে বাড়ি থেকে আবার সড়কপথে গাড়িতে করে মরদেহ হেলিপ্যাডে নিয়ে আসা হয়। পরে হেলিকপ্টারটি মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সাহাবুদ্দীন আহমদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রে ফেরার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী সাহাবুদ্দীন পরে ১৯৯৬ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ফিরেছিলেন।
২০০১ সালে বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অনেকটা নিভৃত জীবন যাপন করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ।
দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাসখানেক আগে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।