নীলফামারীতে তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা কয়েক হাজার পরিবার

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২১

এ জি মুন্না, নীলফামারীঃ নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে ডিমলা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন। তিস্তার তীব্র স্রোতে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ীতে সলেডি স্প্যার বাধ ভেঙে যাওয়ায় শতাধিক বাড়ী-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে অন্যত্র ঘরবাড়ী সরিয়ে নিলেও বেশির ভাগ ঘর-বাড়ী ও আবাদী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, দিবাগত রাত ২টার দিকে স্প্যার বাধটি ভেঙে যাওয়ার খবর শুনে আমরা বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা চালাই কিন্তু নদীর তীব্র স্রোতের কারণে কোন চেষ্টাই সফল হয়নি।

টেপা খড়িবাড়ীর ময়নুল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় আমাদের স্বেচ্ছা শ্রমের তৈরী বাঁধটির ৬০০ মিটার ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে, ফলে হেক্টরের পর হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল লতিফ খান বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙনে ঝাড় সিংহের চরে ৮টি পরিবারের বসত ভিটা তিস্তা নদীর বুকে হারিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন সেল এর তথ্য মতে আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩ মিলি মিটার।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, স্প্যার বাঁধ ভেঙে আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকা সহ অনেক পরিবার প্লাবিত হয়েছে, ভাঙনের শিকার পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার বিতরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে সেসব স্থান পরির্দশন করা হয়েছে। এলাকাগুলোর অবস্থা উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির প্রভাবে ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে বলে জানিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।




error: Content is protected !!