নীলফামারীতে যুবউন্নয়ন প্রশিক্ষন কেন্দ্রে চলছে তুকলঘি কারবার

প্রকাশিত: ১:০১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২২
মো: সাগর আলী, নীলফামারীঃ নীলফামারী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন কেন্দ্রে শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি’র লক্ষ্যে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কারিগর বা উদ্দ্যোক্তা তৈরী করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।সরকারের এমন মহতি উদ্দ্যোগে’র কৃষি সেক্টরের প্রশিক্ষণার্থীদের আবাসিক হোস্টেলে চলছে তুকলঘি কারবার।
 জানা গেছে, নীফামারী জেলার শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি’র লক্ষে কৃষি সেক্টরের গবাদিপশু, হাস-মুরগী পালন, মৎস্য-চাষ, হট্রিকালচার ও প্রাথমিক চিকিৎসা’র উপর বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।এই প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ চলাকালিন সময় প্রশিক্ষাণার্থীদের থাকা ও খাওয়া খরচ বহন করে থাকে সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়।এসব প্রশিক্ষণের আবাসিক হোস্টেলে চলছে তুকলঘি কারবার। এ প্রশিক্ষণের অধিকাংশ প্রশিক্ষনার্থী স্থানীয় হওয়ায় তারা অবাসিক হলে না থেকে নিজ-নিজ বাসা-বাড়ীতে অবস্থান করে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।প্রশিক্ষনার্থী না থাকা প্রসঙ্গে; যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নীলফামারী’র ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ শহীদুল ইসলাম সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অনেকেই স্থানীয় হওয়ায় অবাসিক হলে থাকতে চায় না। নাম প্রকাশ না করা সর্ত্বে  অনেকে জানায়, এ কৃষি সেক্টরের প্রশিক্ষক অনেকে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পাসে না থেকে বিভাগীয় শহর রংপুর থেকে আসা-যাওয়ায় করায় বিভিন্ন কার্য দিবসে প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণ না নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়। তারা আরো জানায়, প্রশিক্ষণের উপকরণ কেনা কাটা না করে প্রাকটিক্যাল না করিয়ে থ্রিউরিক্যাল প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে; ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর শহীদুল ইসলাম সরকার জানান, সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় থেকে যথা সময় বরাদ্দ না  পাওয়ায় বিভিন্ন দোকান-পাট থেকে বাকীতে ক্রয় করার কারণে প্রয়োজনীয় উপকরণ ক্রয় করা সম্ভব হয় না।



error: Content is protected !!