নীলফামারী জেলায় ৩৩৩৭টি মসজিদে ঈদুল আজহার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ২:০৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২০

এ জি মুন্না- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাসের কারণে নীলফামারী জেলায় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার(১ আগষ্ট/২০২০) প্রতিটি মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। এর পর সকাল সাড়ে আটটা দ্বিতীয় এবং সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জামাত। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সারা দেশের ন্যায় জেলার ছয় উপজেলায় মোট তিন হাজার ৩৩৭টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত। নীলফামারী জেলায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় নীলফামারী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ঈদগা মাঠ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা জীবানুমক্ত করা হয়। জামাতে অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মুসল্লি নিজ নিজ বাড়ি থেকে ওজু সেরে, মুখে মার্স্ক পড়ে এবং জায়নামাজ নিয়ে আসে। প্রত্যেক মসজিদের এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার তৈরী এবং নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে মুসল্লিদের শাররীক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিস্ট মসজিদ কমিটি ও ঈমামগণকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানো থেকে সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিশ্চিত করতে শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং তাদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নিতে পারনি। এমনকি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদের ঈদের নামাজ শেষে একে অপরের সাথে কোলাকুলি ও হাত মেলাতে পারেনি। এই বিষয় গুলো নিশ্চিত করেন মসজিদের ঈমাম, মসজিদ কমিটি।
নীলফামারী ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. মারুফ রায়হান বলেন, ঈদুল আজহা এর নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় জেলায় মোট তিন হাজার ৩৩৭টি মসজিদে। এর মধ্যে নীলফামারী সদরে ৭১৩টি, জলঢাকায় ৬২২টি, কিশোরীগঞ্জে ৫৯৭টি, ডিমলায় ৫১৩টি, ডোমারে ৪৯১টি এবং সৈয়দপুরে ৪০১টি মসজিদ।




error: Content is protected !!