নোয়াখালীতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২২

মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
দেশব্যাপী খরা মৌসুমে প্রচন্ড গরম আর ক্ষন তাপদাহে একটুখানি তৃপ্তি মেটাতে এবং মাহে রমজানের ইফতারিতে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুরেজ চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা ও হাকিয়ে নিচ্ছেন চড়া দাম । কোথাও কোথাও কেজিতেও তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।
ব্যাপক চাহিদা ও বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরাও আগাম তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সেই সাথে সরকারি প্রণোদনা ও কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। খরচের তুলনায় অধিক মুল্য পেয়ে কৃসকরা আনন্দিত।উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আওতাধীন এনএফএলসিসি প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় প্রায় দুই একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যা বাবদ নগদ অর্থ সহায়তা পেয়েছেন একই সাথে বিভিন্ন সময়ে কৃষি কর্মকর্তা তাকে পরামর্শও দিয়েছেন ।তিনি আরও জানান, দুই একর জমিতে তরমুজ চাষে তার খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা। ফসল বিক্রি করতে পারবেন আনুমানিক ৩ লাখ টাকা। এতে খরচ শেষে ২ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি । ইতিমধ্যে জমি থেকে পুষ্ট তরমুজ তোলা শুরু হয়ে গেছে । পাইকারী বাজারের ব্যবসায়ীরা এসে ট্রাক ভর্তি করে তরমুজ নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ।
কৃষক আবদুল আজিজের মতো সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী, চরকার্ক, মোহাম্মদপুর , চরবাটা ইউনিয়নের তরমুজ চাষী এনাম হোসেন, কামাল , মহি উদ্দিন , ইমাম হোসেন , , আবুল কালাম ও একই আশা প্রকাশ করেন। এখানে কৃষকরা মার্ভেলাস, গ্লোরি, জাম্বু, ব্ল্যাক জাম্বু, বারি, ভিক্টর সুপার, গ্রীণ ডায়মন্ড, সুপ্রীম সুপারসহ নানা জাতের তরমুজ আবাদ করেছেন ।তাছাড়া রমজান মাস এবং বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড গরম থাকাতে কৃষকরা বেশি লাভের আশা করছেন।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. শহীদুল হক বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার তরমুজ থেকে স্বাধে-গুণে নোয়াখালীর তরমুজ আলাদা । তিনি আরো বলেন , বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব । কৃষির উন্নয়নে আর্থিক প্রণোদনা, তথ্য-প্রযুক্তি ছাড়াও কৃষকদের কম খরচে অধিক ফলনে লাভবান হওয়ার নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার । এর একটি হলো উচ্চজাতের ফসল তরমুজের আগাম আবাদ। কৃষকরা যেন রোগ বালাই মুক্ত তরমুজ আবাদ করতে পারেন, সেজন্য কৃষি অফিসের একাাধিক টিম মাঠপর্যায়ে সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন। আগাম তরমুজ আবাদে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা সে সুফল পেয়েছেন বলে আশা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।




error: Content is protected !!