মোঃ ইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি।
সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে লকডাউনের মধ্যে প্রথম রমজানে ইফতার ও নৈশ ভোজের আয়োজন করেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে এই পার্টির আয়োজন করেন তিনি। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ প্রায় শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।লকাডাউনের মধ্যে যেখানে সাধারণ মানুষের বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষেধ। আর রাস্তায় বের হলে সাধারণ মানুষকে দিতে হয় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা। সেখানে সকল নিয়ম উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে শতাধিক লোকের খাওয়ার এ আয়োজন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন।অন্যদিকে স্বয়ং উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তিনি। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাতিয়ার উপজেলা সদরে পাড়ায় মহল্লায় ব্যাপক সমালোচনা করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।
অফিসার্স ক্লাবের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নাজিম উদ্দিন , করোনার এই সময়ে এ ধরনের পার্টি করে মানুষের সমাগম করা একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির ঠিক হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নাজিম উদ্দিন জানান, আমি প্রথমে মনে করেছি মানুষের উপস্থিতি কম হবে। পরে গিয়ে দেখি অনেক লোকের উপস্থিতি। পরিবেশ দেখে চলে আসার ইচ্ছা থাকলেও সামাজিকতার কারণে চলে আসতে পারিনি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসাবে এই জাতিয় পার্টি করা সঠিক হয়নি বলে আয়োজককে সতর্ক করেছেন কিনা প্রশ্ন করলে ডাক্তার নাজিম উদ্দিন জানান , তিনি আমার ছেয়েও বড় অফিসার তাই সতর্ক করতে পারিনি। উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস বলেন, এটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একান্ত নিজস্ব পার্টি। প্রথমে এই আয়োজনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে করার কথা ছিল। কিন্তু বাসায় জায়গা না থাকায় অফিসার্স ক্লাবে করা হয়েছে। করোনা মহামারিতে লকডাউন চলাকালীন এই জাতিয় আয়োজন করা সঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, এটি কোন বড় আয়োজন ছিল না। শুধু আমাদের অফিসারদের নিয়ে একটি ইফতার ও নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।